লিগের সেরার পুরস্কার যখন একটা, আর সেই পুরস্কারের দুই দাবিদারের নাম যখন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আর লিওনেল মেসি তখন কাকে ছেড়ে কাকে পুরস্কার দেওয়া হবে? লা লিগা কর্তৃপক্ষ এই কঠিন প্রশ্নের বেশ সহজ সমাধান বের করে ফেলেছেন আর একটা পুরস্কার আবিষ্কার করে!
২০১২-’১৩ লা লিগা মরসুমে সেরা প্লেয়ারের শিরোপা পেলেন সেই মেসিই। আর রোনাল্ডোকে দেওয়া হল সবচেয়ে মূল্যবান প্লেয়ারের পুরস্কার। সেরা প্লেয়ারের মুকুট ছাড়াও মেসি আরও একটা পুরস্কার পেলেন। সেরা স্ট্রাইকারের।
অর্থাৎ ব্যালন ডি’অরের আগে আপাতত মেসি-২ : রোনাল্ডো-১। |
লা লিগার পুরস্কার নিয়ে রোনাল্ডো। |
যদিও ব্যালন ডি’অরের আগে মেসির পুরস্কারের ‘ম্যাচে’ এগিয়ে যাওয়া নিয়ে বিশেষ প্রভাবিত নন রোনাল্ডো। বরং মাদ্রিদের অনুষ্ঠানে তিনি পুরস্কার পাওয়ার পর বলে দেন, “আশা করছি আমার বছরটা ভাল যাবে। এ রকমই ভাল খেলতে পারব। এ রকম পুরস্কার আরও পাব।” পাশাপাশি এ-ও জানিয়ে দিলেন যে, চোট সমস্যা কাটিয়ে উঠেছেন। শুধু তাই নয়, লা লিগায় পরবর্তী ম্যাচে রিয়ালের জার্সিতে নামবেনও সিআর সেভেন। বলেছেন, “চোটের ব্যাপারটা আর নেই। আমি সুস্থ। রিয়ালের পরের ম্যাচেই আমি নামছি।”
এ সবের মধ্যে আবার রোনাল্ডো বনাম মেসি যুদ্ধ নিয়ে একপ্রস্থ রসিকতা করে রাখলেন উয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনি। ঠাট্টা করে বলে দিলেন যে, ব্যালন ডি’অরের ভোটাভুটির দিনক্ষণ ফিফা পিছিয়ে দিয়েছে যাতে রোনাল্ডো সেটা জেতার পর্যাপ্ত সুযোগ পান! |
বুয়েনস আইরেসে প্র্যাকটিসে মেসি। |
প্রথমে ঠিক ছিল যে, সবাইকে নিজেদের প্রথম তিন পছন্দ জানিয়ে দিতে হবে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে। সে সময় পর্যন্ত বেটিংয়ের বিচারে অনেক এগিয়ে ছিলেন ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি। কিন্তু মাঝে ব্রাজিল বিশ্বকাপের যোগ্যতা-অর্জন পর্বের প্লে অফ ম্যাচ পড়ে যাওয়ায় সেটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। এবং সুইডেনের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ হ্যাটট্রিকে রিবেরির কড়া প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নতুন করে উঠে আসেন সিআর সেভেন। যা নিয়ে প্লাতিনির রসিকতা, “ফিফাই সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। পর্তুগালের প্লে অফ ম্যাচটাকে মাথায় রেখে। ক্রিশ্চিয়ানো যেখানে তিন গোল করল। কে জানে, ক্রিশ্চিয়ানোকে খুশি করতে ফিফা এটা করে থাকতে পারে!” পরে সিরিয়াস হয়ে প্লাতিনি বলে দিয়েছেন, ব্যালন ডি’অরের ইতিহাসে এ বারের নির্বাচনই সবচেয়ে কঠিন।
|
লা লিগার ট্রফি হাতে |
সেরা প্লেয়ার: লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা)
সবচেয়ে মূল্যবান প্লেয়ার: ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (রিয়াল মাদ্রিদ)
সেরা স্ট্রাইকার: লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা)
সেরা অ্যাট্যাকিং মিডফিল্ডার: আন্দ্রে ইনিয়েস্তা (বার্সেলোনা)
সেরা মিডফিল্ডার: আসিয়ের ইলারামেন্ডি (রিয়াল সোসিয়াদাদ থেকে এ বছর রিয়াল মাদ্রিদে সই করেছেন)
সেরা ডিফেন্ডার: সের্জিও রামোস (রিয়াল মাদ্রিদ)
সেরা গোলকিপার: থিবল্ট কুর্তোয়া (আটলেটিকো মাদ্রিদ)
সেরা কোচ: দিয়েগো সিমেওয়ন (আটলেটিকো মাদ্রিদ)
সেরা চমক: আসিয়ের ইলারামেন্ডি |
|