গিরিময়দান-গোকুলপুর ডবল লাইন ডিসেম্বরেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
গিরিময়দান থেকে গোকুলপুর পর্যন্ত নবনির্মিত ডবল লাইনে পরীক্ষামূলক ভাবে বিশেষ ট্রেন চালানো হল মঙ্গলবার। খতিয়ে দেখা হল নিরাপত্তা। উপস্থিত ছিলেন রেলের সেফটি কমিশনার সুদর্শন নায়েক। সঙ্গে খড়্গপুরের ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রেলের আধিকারিকেরা।
এ দিন সকালে গিরিময়দান স্টেশন থেকে একটি মোটর ট্রলিতে সেফটি কমিশনার গোকুলপুর স্টেশন পর্যন্ত নবনির্মিত রেললাইন পরীক্ষা করেন। সেখান থেকেই গতি নির্ধারণের যন্ত্রাংশ লাগানো তিন কামরা বিশিষ্ট বিশেষ ট্রেনে গিরিময়দানে ফিরে আসেন তিনি।
এত দিন হাওড়া-মেদিনীপুর শাখার ব্যস্ততম ওই রেলপথে গিরিময়দান থেকে গোকুলপুর পর্যন্ত একটি মাত্র লাইন ছিল। ফলে মেদিনীপুর থেকে খড়্গপুর ১৬ কিলোমিটার রেলপথে গোকুলপুর স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হত যাত্রীদের। তাই এই পথে ডবল লাইনের দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। গত বছর ১২ জানুয়ারি থেকে ডবল লাইন তৈরির কাজ শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে গিরিময়দান থেকে গোকুলপুর ৪ কিলোমিটার রেলপথ ডবল লাইন করার সেই কাজ শেষ হয়েছে। |
|
গোকুলপুর থেকে গিরিময়দান পর্যন্ত দ্বিতীয় লাইনে পরীক্ষামূলক ভাবে চলল বিশেষ ট্রেন।
তবে খড়্গপুর স্টেশনে
সিগন্যাল ব্যবস্থার পরিবর্তন না হলে, তা চালু করতে আরও
সময় লাগবে বলে জানিয়েছে রেল। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
সেফটি কমিশনার সুদর্শন নায়েক এ দিন বলেন, “নতুন লাইন পরিদর্শন করতে এসেছি। ফিরে গিয়ে রিপোর্ট জমা দেব। আশা করছি, মাস খানেকের মধ্যেই নতুন লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে।” খড়্গপুরের ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “এ দিন ওই লাইনে গতিবেগ পরীক্ষা করা হয়েছে। ঘন্টায় ১০০কিলোমিটার বেগে ট্রেন ওই পথে চলাচল করতে পারবে। ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতেই ডবল লাইন চালু হবে।” তবে তারপরেও খড়্গপুর থেকে গিরিময়দান পর্যন্ত একটি লাইনেই ট্রেন চলাচল করবে। কারণ ডিআরএম জানিয়েছেন, এ জন্য খড়্গপুর স্টেশনের সিগন্যাল ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। তবে তা চালু করতে আরও তিন বছর সময় লাগবে। |
|