|
|
|
|
চেয়ারম্যানের নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক রেল বোর্ডে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৩ ডিসেম্বর |
ফের বিতর্ক রেল বোর্ডের নিয়োগ ঘিরে।
গত মে মাসে রেল বোর্ডের সদস্য (কর্মিবর্গ) নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ইস্তফা দিতে হয়েছিল তৎকালীন রেলমন্ত্রী পবন বনশলকে। এ বার খোদ রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক। তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে তথ্যের অধিকার আইন। সম্প্রতি তথ্যের অধিকার আন্দোলনকর্মী সুভাষ অগ্রবাল রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠালে রেল মন্ত্রকও জানিয়ে দেয়, ওই তথ্য দেওয়া যাবে না। তার পরেই গোটা বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে।
কী সেই বিতর্ক?
প্রায় দু’মাস ‘কার্যনির্বাহী’ হিসেবে দায়িত্ব সামলানোর পর গত অক্টোবর মাসে পাকাপাকি ভাবে অরুণেন্দ্র কুমারকে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বসায় মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি। কিন্তু রেল মন্ত্রকের গুঞ্জন হল, খোদ রেলমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খার্গে ওই নিয়োগের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি অরুণেন্দ্রের বদলে দক্ষিণ-পশ্চিম রেলের জেনারেল ম্যানেজার এ কে মিত্তলের নাম সুপারিশ করেছিলেন। খার্গে শিবিরের অভিযোগ, রেলমন্ত্রীর মতামতকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে আর এক শীর্ষ মন্ত্রীর ইচ্ছেতেই অরুণেন্দ্রর নিয়োগে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়। রেল মন্ত্রকের খবর, এর আগে অরুণেন্দ্র কুমার জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেলে (বিলাসপুর) কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে মধ্যপ্রদেশের ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনিই প্রভাব খাটিয়ে অরুণেন্দ্রকে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে আনেন। খার্গে শিবিরের অভিযোগ, যে দিন ওই নিয়োগ হয় সে দিন রেলমন্ত্রী বেঙ্গালুরুতে ছিলেন। কার্যত তাঁকে অন্ধকারে রেখেই অরুণেন্দ্রকে চেয়ারম্যান করা হয়।
কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান হিসাবে কর্মরত অবস্থাতেই রেলের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে খার্গের সঙ্গে মতান্তর সৃষ্টি হয়েছিল অরুণেন্দ্রর। অক্টোবর মাসের পর থেকে তা চরমে পৌঁছয়। খার্গে শিবিরের অভিযোগ, রেলমন্ত্রীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে
চলার পরিবর্তে অরুণেন্দ্র মধ্যপ্রদেশের ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ইচ্ছানুসারে কাজ করছেন। কারও কারও মতে, এই পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যানের অধিকার খর্ব করতেই সম্প্রতি প্রাক্তন
বোর্ড চেয়ারম্যান বিবেক সহায়কে নিজের পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করেছেন খার্গে।
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় অরুণেন্দ্র কুমারের নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় জানতে চেয়েছিলেন সুভাষ অগ্রবাল। কিন্তু রেল মন্ত্রক বলে দিয়েছে, এই ভাবে সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। আবেদনকারী কোনও একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে জানতে চাইলেই তবেই তা দেওয়া যাবে। যদিও একটি অংশের দাবি, রেলমন্ত্রী যে অরুণেন্দ্রকে চাননি, তা বাইরে ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সম্ভবত সেই কারণেই স্পষ্ট কোনও উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকতে চেয়েছে রেল মন্ত্রক। |
|
|
|
|
|