|
|
|
|
হিংসা দমন বিল নিয়ে যুদ্ধে কেন্দ্র ও বিরোধীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও কলকাতা |
বিতর্কের মধ্যেই সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রতিরোধ বিলটি শীতকালীন অধিবেশনে আনতে চলেছে কেন্দ্র। যে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি। বিজেপি মনে করছে, নরেন্দ্র মোদীর মোকাবিলা করতে গিয়েই বিলটি আনতে চাইছে কেন্দ্র। এর ফলে সংখ্যালঘুদের বার্তা দেওয়া যাবে, কংগ্রেসই তাদের রক্ষাকর্তা। অন্য দিকে, ধর্মনিরপেক্ষ আঞ্চলিক দলগুলি সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে এই বিলের বিরোধিতা করছে। যুক্তি, এই বিলের সাহায্যে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে কেন্দ্র।
বিলটি নিয়ে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে আজ বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামী। বিষয়টি নিয়ে সরব হয় বিরোধী দলগুলি। রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপের যুক্তি তুলে জয়ললিতা চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর বক্তব্য, প্রস্তাবিত আইনের অপব্যবহার হতে পারে। যার জবাবে বিরোধীদের আশ্বস্ত করতে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কে রহমান খান বলেন, “কেন্দ্র মোটেই রাজ্যের অধিকারে নাক গলাবে না। প্রস্তাবিত জাতীয় কর্তৃপক্ষে রাজ্যের প্রতিনিধি থাকবেন।”
দু’দিন আগে মমতা এই বিলটির বিরোধিতা করে বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি জারির কয়েক মাসে আগে এই বিল আনছে কেন্দ্র। রাজ্যের অধিকারে লাগাতার অপ্রয়োজনে হস্তক্ষেপ একেবারে অসাংবিধানিক। সাম্প্রদায়িক হিংসা রোখার নামে রাজ্যের সাংবিধানিক অধিকারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।” বলেছিলেন, “আমরাও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভালবাসি। পরিবারের সদস্য হিসেবে তাদের সুরক্ষা দেওয়া আমাদেরও দায়িত্ব।” পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের বৈঠকে সেই যুক্তিই তুলে ধরেছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বও জানেন পাঁচ মাসের মধ্যে এই বিল পাশ করানো সম্ভব নয়। তা সত্ত্বেও ভোটের কথা ভেবেই শেষবেলায় তাঁরা দেখাতে চাইছেন, তাঁরাই চেষ্টা করেছিলেন, অন্যদের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। আর তাঁদের এই পরিকল্পনার কথা বুঝে ধর্মনিরপেক্ষ আঞ্চলিক দলগুলি একজোটে বিলটির বিরোধিতা করেছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলা শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রের অন্য বিল এবং সিদ্ধান্তগুলি নিয়েও দলীয় সাংসদদের সরব হতে বলেছেন মমতা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারে ছিটমহল হস্তান্তর-সহ একাধিক বিল আসতে পারে। |
|
|
|
|
|