সরানো হল সিটিসি-র চেয়ারম্যান শান্তিলাল জৈনকে। তাঁর জায়গায় ওই সরকারি পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান হলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র নিজেই। ডেপুটি চেয়ারম্যান করা হয়েছে পরিবহণ দফতরের সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, কিছু দিন ধরে পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না শান্তিবাবুর। তার জেরেই তাঁকে সরতে হল বলে মনে করা হচ্ছে।
গত মাসে রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডে ভাঙা ট্রামলাইনে মোটরবাইক দুর্ঘটনার সময়ে শান্তিবাবু জানিয়েছিলেন, তিনি আগেই ভাঙা ট্রামলাইনের কথা জানতেন। সরকারকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর পরেই চেয়ারম্যানকে তলব করে পরিবহণমন্ত্রী জানতে চান, কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া, সম্প্রতি সরকার ট্রাম কোম্পানির উদ্বৃত্ত জমি দীর্ঘমেয়াদি লিজ দিয়ে যে অর্থ উপার্জনের পরিকল্পনা নিয়েছে, তারও বিরোধিতা করেছিলেন শান্তিবাবু। ট্রাম কোম্পানির জমি থেকে নিয়মিত অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থার পক্ষে ছিলেন তিনি।
পরিবহণ-কর্তারা কেউ মন্তব্য করতে চাননি। কিছু বলেননি পরিবহণমন্ত্রীও। তবে শান্তিবাবু দাবি করেছেন, “শুক্রবারই ইস্তফা দিতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীকে আমি জানিয়েছি, যে ভাবে পরিবহণ দফতর চলছে, তাতে আমার পক্ষে আর সিটিসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করা সম্ভব নয়।” |