ঋণ নিতে গিয়ে প্রতারিত হলেন বিধাননগরের বৈশাখী আবাসনের এক বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তি সম্প্রতি সংবাদপত্রে একটি সংস্থার ঋণ দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেন। প্রতিশ্রুতি মতো, তিনি ১৫ হাজার টাকা দিলে তাঁকে পাঁচ লক্ষ টাকার একটি চেক দেয় ওই সংস্থা। কিন্তু চেকটি ভাঙাতে গিয়ে অভিজিৎবাবু দেখেন, সেটি বাউন্স করে গিয়েছে। এর পরেই ঋণ প্রদানকারী ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে জানতে পারেন, সংস্থাটির অস্তিত্বই নেই। তার পরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন অভিজিৎবাবু।
অন্য দিকে, গাড়ি কেনার জন্য জাল নথি দাখিল করে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষাধিক টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগে সোমবার এক যুবক গ্রেফতার হয়েছে। ধৃত বিকাশ সরকারের (২৯) বাড়ি হরিদেবপুরে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যাঙ্কের লিন্ডসে স্ট্রিট শাখা থেকে গাড়ি কেনার জন্য প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ঋণ নেয় বিকাশ। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে যাচাই করতে গেলে জাল নথির বিষয়টি সামনে আসে। এর পরেই ওই ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক একটি মোটর এজেন্সির নথি জাল করে ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির গড়িয়া শাখায় ওই সংস্থার নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলে সে। ওই যুবক জয়পুরের একটি ভোজ্য তেল সংস্থার নথিও জাল করে সংস্থাটির নামে একটি অফিস খোলে। ধৃতকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত দিয়েছেন।
এ দিকে, রবিবার আগরপাড়ার উমেশচন্দ্র রোডে বাড়ি শুদ্ধিকরণের নামে গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে সাধুবেশী দুই দুষ্কৃতী। গৃহকর্তা বিমল ভৌমিক পুলিশকে জানান, দুষ্কৃতীরা তাঁর পুত্রবধূ শম্পাদেবীর কাছে বাড়ির শুদ্ধিকরণ ও সদস্যদের মঙ্গলের জন্য সোনার হার ও তিনটি আংটি চায়। সেই হার ও আংটি কাগজে মুড়িয়ে শম্পাদেবীর চোখে ধুলো দিয়ে চম্পট দেয় তারা। রবিবার খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিমলবাবু। দুষ্কৃতীরা নিজেদের মধ্যে মরাঠিতে কথা বলছিলেন বলে জানান শম্পাদেবী। |