বিয়ের আগেই পাত্রীর সোনার গয়না নিয়ে পাত্রের উধাও হওয়ার অভিযোগ পেল পুলিশ। পাত্রের খোঁজ চলছে।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি পাত্র চেয়ে একটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন কল্যাণীর এক বাসিন্দা। পেশায় শিক্ষিকা পাত্রীর মোবাইল নম্বরও ছিল তাতে। সেই নম্বরেই যোগাযোগ করেন পাত্র।
পুলিশ জেনেছে, পাত্র-পাত্রী দু’জনে কোনও দিন এর আগে মুখোমুখি হননি। ফোনেই আলাপ জমে। পাত্রীকে মঙ্গলবার বাবুঘাটের কাছে সেজেগুজে আসতে বলেন পাত্র। আশ্বাস দেন, ওই দিনই তাঁর মা পাত্রীকে আশীর্বাদ করবেন। কথা মতো সেজেগুজেই বাবুঘাটের কাছে হাজির হন পাত্রী। তার পরে দু’জন এক গাড়িতে গড়িয়াহাট আসেন।
গোলপার্কের একটি বিখ্যাত সোনার দোকানের সামনে এসে পাত্র তাঁর গাড়ি থামিয়ে দেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন পাত্রী। তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর গায়ে প্রায় চার ভরি সোনার গয়না ছিল। পাত্র তাঁকে বলেন, ওই দোকানে তাঁর কয়েক কোটি টাকার সোনার গয়না আছে। মায়ের কাছে নতুন সোনার গয়না পরে যেতে হবে। তাই পাত্রীকে তাঁর সোনার গয়নাগুলি খুলে দিতে বলেন পাত্র। পাত্রের আশ্বাসে গলে গিয়ে পাত্রী তাঁর সব গয়না খুলে পাত্রকে দেন। পাত্র সেই গয়না নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যান। কিন্তু বহুক্ষণ পরেও না ফেরায় টনক নড়ে পাত্রীর।
গাড়ি থেকে নেমে পাত্রকে খুঁজে না পেয়ে সোজা গড়িয়াহাট থানায় হাজির হন পাত্রী। অভিযোগ জানান প্রতারক পাত্রের বিরুদ্ধে। তদন্তের স্বার্থে পাত্র-পাত্রীর নাম গোপন রেখেছে পুলিশ। বিবরণ শুনে পাত্রের স্কেচও আঁকা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, পাত্র এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটিয়েছে। সম্ভবত সে বেহালা এলাকায় থাকে।
|
শিয়ালদহের একটি লজে এক কর্মীকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম নিরঞ্জন জানা (৪৫)। তাঁর বাড়ি এগরার চিরুলিয়ায়। ওই লজের দুই কর্তা সাধু যাদব ও শ্রীকান্ত যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অভিযোগ, ওই লজে দেহ ব্যবসা চলত। তা নিয়ে গন্ডগোলের জেরে লজের কয়েক জন আবাসিকের সঙ্গে নিরঞ্জন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। মঙ্গলবার রাতে কিছু লোক বাইরে থেকে লজের মালিকদের ডাকে। নিরঞ্জনকে পেয়ে হেলমেট দিয়ে তাঁর মাথায় মারা হয়। পরে তিনি মারা যান। |