সোনার দোকানের ভিতর থেকে চিৎকার শুনে ছুটে এসেছিলেন আশপাশের ব্যবসায়ীরা। দোকানের ভিতরে ঢুকে তাঁরা দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক যুবক। পাশে পড়ে একটি রক্তমাখা হাতুড়ি। দোকান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন এক বৃদ্ধ। তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে একডালিয়া প্লেসে। জখম যুবককে এনআরএসে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর আঘাত গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
পুলিশ জানায়, জখম হওয়া যুবকের নাম পার্থ রায়। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর বাবা রতন রায়। তাঁরা আদতে সোনারপুরের আড়াপাঁচ গ্রামের বাসিন্দা। একডালিয়ায় দোকান ভাড়া নিয়ে সোনার গয়না তৈরির কাজ করতেন তাঁরা। ধৃত রতনের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের চেষ্টার মামলা শুরু করেছে পুলিশ। এ দিন রতনকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, সোনারপুরের আড়াপাঁচ গ্রামের বাড়ি বিক্রি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই রতনবাবুর পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। ধৃত রতন পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ওই বাড়ি বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সমানে বাধা দিচ্ছিলেন পার্থ। সেই নিয়ে তাঁদের মধ্যে কয়েক বছর ধরেই গোলমাল চলছিল। রতনের দাবি, ব্যবসার হাল ভাল না হওয়ার জন্যই তিনি বাড়ি বিক্রি করে দিতে চাইছিলেন।
তদন্তকারীরা জানান, গ্রেফতার হওয়ার পরেই ভেঙে পড়েছেন বৃদ্ধ রতন রায়। তিনি পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন, সোমবার দু’জনে দোকানে বসে কাজ করছিলেন। তখন বাড়ি বিক্রি নিয়ে দু’জনের মধ্যে ফের বচসা শুরু হয়। মেজাজ হারিয়ে একটি হাতুড়ি দিয়ে পার্থর মাথায় আঘাত করেন রতন। রক্তাক্ত অবস্থায় পার্থ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি।
প্রৌঢ়ার মৃতদেহ উদ্ধার। বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে এক প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধার করা হল। মঙ্গলবার, বালির পিএন ঘোষ রোড থেকে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম দীপ্তি কুণ্ডু (৬৪)। পুলিশ জানায়, ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন বিবাহবিচ্ছিন্না, পেশায় বিমা এজেন্ট ওই প্রৌঢ়া। গত কয়েক দিন ধরে তাঁকে ঘরের বাইরে বেরোতে না দেখে সন্দেহ হয় ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের। তাঁরা এ দিন বালি থানায় খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখতে পায়, বিছানার উপরে পড়ে আছেন দীপ্তিদেবী। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, দিন কয়েক আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছিলেন তিনি। হৃদ্রোগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। |