রাজ্য সরকার বলে দিয়েছে, পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ছাত্রভোটের দিন ঠিক করতে হবে। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হল। কিন্তু একই দিনে ভোটের যে-প্রস্তাব পুলিশকর্তারা দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা তা মানতে পারছেন না। তবে এ দিনের বৈঠকেই ভোটের সম্ভাব্য দিন ঠিক করেছেন যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সির প্রতিনিধিরা। যাদবপুরে নির্বাচন হবে ২৮ জানুয়ারি। প্রেসিডেন্সি আগেই জানিয়েছিল ৩১ জানুয়ারি ছাত্র সংসদের নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে সেটাই বহাল থাকছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোটের সম্ভাব্য দিন ১৬, ১৮, ২১ জানুয়ারি।
তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই সম্ভাব্য তারিখ জানানো হয়েছে মাত্র। প্রেসিডেন্সির প্রতিনিধিরা জানান, পরীক্ষা থাকায় ৩১ জানুয়ারির আগে ওখানে ছাত্রভোট করা সম্ভব হচ্ছে না। আর ছাত্র সংসদের নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত সময়সীমার (৩১ জানুয়ারি) একেবারে শেষ দিনে ভোট করাতে রাজি নয় যাদবপুর।
মঙ্গলবার লালবাজারে যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। উচ্চশিক্ষা দফতর সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে, পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোট সারতে হবে। যুগ্ম কমিশনার (সদর) পরে বলেন, “এ দিনের বৈঠকে বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
পুলিশি সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে শনি ও রবিবার ছাত্র সংসদের নির্বাচন করার কথা বলা হয়েছিল। কারণ, ওই দু’দিন সরকারি অফিসে ছুটি থাকায় ছাত্রভোটে বেশি সংখ্যায় পুলিশ দেওয়া যাবে। কিন্তু তাঁদেরও ছুটি থাকায় শনি-রবিবার নির্বাচন করা যাবে না বলে জানান প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুরের কর্তারা।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, শনিবার তাদের ছুটি নেই। তাই ওই দিন নির্বাচনের কথা ভাবা হবে। উচ্চশিক্ষা দফতরের চিঠিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের অধীন কলেজের নির্বাচন একই দিনে করাতে হবে। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, “আমাদের সাতটি ক্যাম্পাস। শুধু শহরেই আছে ৯৫টি কলেজ। তার মধ্যে অনেক জায়গায় আবার সকাল, দিবা ও সান্ধ্য শিফট মিলিয়ে তিনটি করে কলেজ চলে। তাই এক দিনে ভোট সম্ভব নয়।” প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, নির্বাচন হবে তিন দিনে। সাতটি ক্যাম্পাসে একই দিনে এবং একাধিক শিফটে চলা কলেজে পৃথক দিনে ভোট হবে। সবিস্তার আলোচনার জন্য কাল, বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন।
এ দিনের বৈঠকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদেরও থাকার কথা ছিল। কিন্তু রবীন্দ্রভারতীর কর্তৃপক্ষ জানান, সেখানে কোনও আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। তাই মঙ্গলবারের বৈঠকে যাননি তাঁরা। |