কালনার পর পূর্বস্থলী। শনিবার কালনা পুরসভার কংগ্রেসের উপ পুরপ্রধান যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। সোমবার এই মহকুমারই নসরৎপুর পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান-সহ চার পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিল তৃণমূলে। পূর্বস্থলী ১ ব্লকে একমাত্র এই পঞ্চায়েতেই বিজেপি ক্ষমতায় ছিল। রবিবার এক সভায় দলত্যাগী বিজেপি সদস্যদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) ও রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
রাজ্যের মধ্যে সীমিত যে কটি জায়গায় বিজেপির নিজস্ব ভোট রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম পূর্বস্থলী ১ ব্লক। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩০ আসন বিশিষ্ট নসরৎপুর পঞ্চায়েতে ১২টি করে আসন পেয়েছিল বিজেপি ও তৃণমূল। ৬টি আসনে জিতেছিল সিপিএম। বাইরে থেকে সিপিএমের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। প্রধান ও উপপ্রধান উভয়েই নির্বাচিত হন বিজেপি থেকে। কিন্তু পঞ্চায়েত কাজ শুরু করার পর থেকেই কয়েকজন বিজেপি সদস্যের মধ্যে বিভিন্ন কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়। রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সমুদ্রগড় রেল বাজারে তৃণমূলের একটি সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দেন নসরৎপুর পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দন বসাক, পঞ্চায়েত সদস্য রাজকুমার ঘোষ, শিল্পী বসাক ও চম্পা বসাক। চার সদস্যের সঙ্গে তাঁদের অনুগামীরাও তৃণমূলে যোগ দেন। ওই অনুষ্ঠানে স্বপনবাবু বলেন, “প্রধান-সহ চার জন দলে যোগ দেওয়ায় আমরা ওই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলাম। যিনি প্রধান ছিলেন তিনিই থাকবেন।” ওই চারজন ছাড়াও নসরৎপুর পঞ্চায়েতের আরও কয়েক জন বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন বলে স্বপনবাবুর দাবি।
তবে দলত্যাগীদের দুর্নীতিপরায়ণ বলে দাবি করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি রাজীব ভৌমিকের দাবি, “প্রধান হওয়ার পর থেকে চন্দনবাবু দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তার সঙ্গে ঠিকেদারদের লেনদেন ছিল। দলগত ভাবে সতর্ক করেও কাজ হয়নি।” তাঁর পাল্টা দাবি, তৃণমূলের কয়েকজন সদস্যও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আপাতত নসরৎপুর পঞ্চায়েতে বিরোধী আসনেই বসবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। |