ফুলশয্যার রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল নবদম্পতির। শনিবার বউভাত মিটে যাওয়ার পর নবদম্পতিকে ঘরেও ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন পরিজনেরা। রবিবার সকালে সেই ঘরেরই দরজা ভেঙে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ ও বিছানায় স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করল। উত্তর দিনাজপুর জেলার হিলির জয়ন্তীপুরের মৃতরা হলেন সঞ্জয় সরকার (২৫) ও বুল্টি দাস (১৯)। তদন্তে পুলিশের অনুমান, নববধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সঞ্জয়বাবু আত্মঘাতী হন। জেলা এসপি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মন কষাকষির জেরে এই পরিণতি কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুই পরিবারের সদস্যদেরও জেরা করা হচ্ছে।”
গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমারগঞ্জ থানার জাকিরপুরের বাসিন্দা কৃষক পরিবারের মেয়ে বুল্টির সঙ্গে বিয়ে হয় সঞ্জয়ের। সঞ্জয়বাবু চাষের কাজ করতেন। বিয়ের আগে সঞ্জয় এবং বুল্টির মধ্যে পরিচয়ও ছিল। পরিবারের সদস্যরাই মাস তিনেক আগে বিয়ে ঠিক করেন। শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বউভাতের অনুষ্ঠান চলে বলে। রাত ১টা নাগাদ নবদম্পতি ঘরে ঢোকে। সঞ্জয়বাবুর বাবা সুশীলবাবু বলেন, “রবিবার সকাল ৮টাতেও সঞ্জয় বা বৌমা ঘর থেকে না বেরোনোয় ডাকাডাকি শুরু হয়। দরজায় ধাক্কা দিয়ে সাড়া না মেলায় সন্দেহ হয়। এরই মধ্যে এক আত্মীয় দরজা ফাঁক করে সঞ্জয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।”দেহ উদ্ধারের সময় পুলিশের কাজে বাধা দেন নববধূর পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, সকালে ঘটনার কথা জানা গেলেও তাঁদের খবর দেওয়া হয়নি। মৃতার মামা ভূপতি রায় বলেন, “অন্যের মুখে ঘটনাটি জানতে পারি।” পরে তদন্তের আশ্বাস দিয়ে পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য বালুরঘাট হাসপাতালে পাঠায়। ধলপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান উজ্জ্বল মণ্ডল বলেন, “ছেলে হিসাবে সঞ্জয় এলাকায় ভাল বলেই পরিচিত ছিল। কেন এমন করল, সেটা আন্দাজ করা সম্ভব নয়।” |