বিক্ষোভ প্রদর্শন নয়, বদলে রেলকর্তাদের কাছে হাজির হলেন জয়নগরের মোয়ার প্যাকেট আর ফুলের তোড়া নিয়ে। শনিবার রাত এভাবেই রেল কর্তাদের সামনে রেল নিয়ে নিজেদের অসুবিধার কথা জানালেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর ও দক্ষিণ বারাসত এলাকার বাসিন্দারা।
শনিবার, ঘড়িতে তখন প্রায় রাত ১টা। শিয়ালদহ-নামখানা শাখার জয়নগর স্টেশনে এসে থামল একটি সেলুনকার। সেলুনকার থেকে নামলেন রেলের বড়কর্তারা। প্ল্যাটফরমে তখন প্রায় শ’দুয়েক স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের সঙ্গে হাজির জয়নগরের এসইউসি বিধায়ক তরুণ নস্কর। কর্তারা স্টেশনে পা রাখতেই জনতার তরফে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হল মোয়ার প্যাকেট, ফুলের তোড়া। সেই সঙ্গে রেলকর্তাদের সবিস্তারে জানানো হল নিত্যযাত্রীর নানা সমস্যার কথা।
কিন্তু সমস্যার কথা জানাতে রাতেই কেন?
রেল সূত্রে যা জানা গেল, রেলকর্তাদের এ ধরনের পরিদর্শন মাঝেমধ্যেই থাকে যা একেবারেই দফতরের নিজস্ব বিষয়। দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকার নিত্যযাত্রীরা নিজেদের নানা সমস্যা নিয়ে সরাসরি রেলের বড় কর্তাদের পৌঁছতে চাইছিলেন। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে স্থানীয় বিধায়ক তরুণ নস্কররে শরণাপন্ন হন তাঁরা। তাঁর উদ্যোগেই সংঘটিত হয় এ দিনের সাক্ষাৎ।
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, ওই দিন শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় সোনারপুর, সুর্যপুর, জয়নগর, লক্ষ্মীকান্তপুর ও নামখানা প্ল্যাটফর্ম পরিদর্শন করেন রেল কর্তারা। জয়নগর ও দক্ষিণ বারাসত এলাকার নিত্যযাত্রীরা বেশ কয়েক বার ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য রেল কর্তাদের কাছে আবেদন করেছিলেন। এদিন জয়নগর স্টেশনে রেলকর্তাদের সামনে সেই সব অসুবিধা তুলে ধরেন নিত্যযাত্রীরা। প্রায় মিনিট দশেক নিত্যযাত্রীদের নানা আবেদন শোনেন রেলকর্তারা। নিত্যযাত্রীদের দাবি অনুযায়ী বাড়তি ট্রেনের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা করা যায়, সেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে অোলাচনা করা হবে বলে উপস্থিত নিত্যযাত্রীদের আশ্বাস দিয়েছেন রেলকর্তারা। তা ছাড়া শীঘ্রই জয়নগর পর্যন্ত ডবল লাইন চালুর ব্যাপারেও রেল কর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তরুণবাবু।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার এক রেল কর্তা বলেন, “আমরা যাত্রীদের সমস্যাগুলি শুনেছি। সেগুলি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি।” |