সম্প্রতি হাবরার কাশীপুরে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা হামিদ রহমানের স্মরণসভায় এসে সোমেন মিত্র জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসে ফিরে আসতে চান তিনি। উত্তর ২৪ পরগনা-সহ গোটা রাজ্যেই কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াবে বলে সেখানে আশাপ্রকাশ করেছিলেন সোমেনবাবু। রবিবার বিকেলে সেই কাশীপুর মাঠেই তৃণমূলের জনসভায় জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা হাবরার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন হামিদ রহমানের ছেলে মুজিবর রহমান ও পুত্রবধূ ফলিদা বিবি। হাবরা ব্লক কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অশোক চক্রবর্তীও এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন। |
জনসভায় মুকুল রায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ছবি: শান্তনু হালদার। |
এ দিন জনসভায় ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি রহিমা মণ্ডল, জেলা তৃণমূল সভাপতি নির্মল ঘোষ-সহ হাজির ছিলেন অন্য তৃণমূল নেতারা। মুজিবর-ফলিদা ছাড়াও কংগ্রেসের প্রায় হাজার কর্মী-সমর্থক এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন। হাবরার কুমড়া পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য ছিলেন ফলিদা। তিনি ছাড়াও পুষ্প বিশ্বাস নামে আরও এক কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েতেও ১৪ আসনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল।
এ দিন মুজিবর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সমাদ্দার বলেন, “হামিদ সাহেব সারা জীবন কংগ্রেস করেছেন। তাঁর ছেলে ব্যক্তিগত সুবিধা পেতে বাবার আদর্শ থেকে সরে গেলেন। এতে কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না।” মুজিবরের অবশ্য যুক্তি, “মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন যজ্ঞে শরিক হতেই এই সিদ্ধান্ত। বাবা চিরদিন বামপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। কংগ্রেসে থেকে সেই লড়াই করা সম্ভব হচ্ছিল না।”
মুজিবর-সহ অন্যান্য কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “হাবরায় কংগ্রেসের যেটুকু সংগঠন ছিল, তাও শেষ হল।”
মুকুলবাবু বলেন, “হামিদ সাহেব জেলার একজন প্রতিষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী ছিলেন। দীর্ঘদিন বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন তিনি। তাঁর ছেলে, পুত্রবধূ-সহ যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিলেন, তাঁদের স্বাগত জানাচ্ছি। এতে এখানে তৃণমূল শক্তিশালী হবে।” |