গল্ফ বিশ্বকাপের খারাপ ফর্ম মুছে ফেলে ইন্দোনেশিয়ায় রবিবার নিজের পাঁচ নম্বর এশীয় ট্যুর খেতাব জিতে নিলেন গগনজিৎ ভুল্লার। কপূরথালার পঁচিশ বছরের তারকা ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া ওপেনের প্রথম দশে শেষ করলেন আরও দুই ভারতীয়। পঞ্চম স্থানে জ্যোতি রণধাওয়া এবং ছয়ে থাকলেন অনির্বাণ লাহিড়ী।
ক’দিন আগেই গল্ফ বিশ্বকাপে নেমে দুঃস্বপ্নের চারটে রাউন্ড খেলেছিলেন গগনজিৎ। খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে লজ্জাজনক শেষ করেন লিডারবোর্ডের একেবারে তলানিতে, সবার শেষে। কিন্ত খুব দ্রুত সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে এই টুর্নামেন্টে ভারতের এক নম্বর গল্ফার নতুন করে যেন নিজের সেরা ফর্মটা টেনে বের করে নিয়ে এসেছিলেন। ইন্দোনেশিয়ার কোর্সে গত বৃহস্পতিবারের প্রথম রাউন্ড থেকেই একাধিপত্য ছিল গগনজিতের। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লিডারবোর্ডের এক নম্বর জায়গাটা নিজের দখলে রেখে দিয়ে চার রাউন্ডে স্কোর করলেন যথাক্রমে ৬৪, ৬৭, ৬৯ এবং ৬৮। মোট স্কোর ১৬-আন্ডার ২৬৮। জিতলেন পুরো তিন শটে। সেখানে অনির্বাণের মোট স্কোর ১০-আন্ডার ২৭৪ আর রণধাওয়ার ১১-আন্ডার ২৭৩। দ্বিতীয় হলেন মালয়েশিয়ার নিকোলাস ফুং। |
ইন্দোনেশিয়া ওপেন ট্রফি নিয়ে গগনজিৎ। রবিবার। ছবি: এএফপি। |
সাড়ে সাত লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার মূল্যের ইন্দোনেশিয়া ওপেন জেতায় গগনজিতের প্রাপ্তি ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার। ফলে এশীয় ট্যুরের অর্ডার অব মেরিট তালিকায় তিনি উঠে এলেন চার নম্বরে। এই তালিকায় তাঁর ঠিক পিছনে, পাঁচে আছেন অনির্বাণ।
চলতি মরসুমে আভান্থা মাস্টার্সে রানার্স হয়েছেন গগনজিৎ। তার পরে এই ইন্দোনেশিয়ার খেতাবই তাঁর সেরা সাফল্য। এ দিন শেষ রাউন্ডে শেষ নয় হোল-এ তিনটি বার্ডি গগনজিৎকে বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গগনজিতের প্রথম এশীয় ট্যুর খেতাবও এসেছিল এই ইন্দোনেশিয়ার মাটিতেই। ২০০৯-এ ইন্দোনেশিয়া প্রেসিডেন্টস ইনভিটেশনাল টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন তিনি। তার পর ২০১০-এ এশীয় ট্যুর ইন্টারন্যাশনাল, ২০১২-য় ইয়াংদর টুর্নামেন্ট প্লেয়ার্স চ্যাম্পিয়নশিপ এবং সে বছরেই ভেনেশিয়ান ম্যাকাও ওপেন জেতেন। তার পরে আবার এই খেতাব। |