|
|
|
|
শহরের অধিকাংশ এটিএম রক্ষিহীন, শিকেয় নিরাপত্তা
সুমন ঘোষ • মেদিনীপুর |
ঠেকেও শিক্ষা হয় না। বেঙ্গালুরুতে এটিএম কাউন্টারের ভিতরে এক মহিলা আক্রান্ত হওয়ার পরে দেশ জুড়ে সতর্কতা জারি হলেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রধান দুই শহর মেদিনীপুর ও খড়্গপুরে বেসরকারি কিংবা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমগুলিতে তেমন কোনও হেলদোল চোখে পড়ছে না।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহরে এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম রয়েছে ৩০টি। আর সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের ব্যাঙ্ক মিলিয়ে দুই শহরে এটিএমের সংখ্যা প্রায় একশো। এদের বেশিরভাগেই কোনও নিরাপত্তারক্ষী নেই। আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অতনু মিত্রের কথায়, “মেদিনীপুর শহরে আমাদের তিনটি এটিএম রয়েছে। ২টি আমরা সরাসরি দেখি। সেখানে রক্ষী রয়েছে। তবে যেটি অন্য সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে সেখানে রক্ষী নেই।”
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার হিরণ্ময় দাসের কথায়, “আমরা সরাসরি যে এটিএমগুলি দেখভাল করি সেখানে রক্ষী রয়েছে।” এই ব্যাঙ্কের মেদিনীপুর শহরে ৬টি এটিএম কাউন্টার নিজেরা সরাসরি দেখভাল করেন। বাকি ৭টি অন্য সংস্থাকে দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেগুলি সবই রক্ষীহীন। |
নেই নিরাপত্তারক্ষী। —নিজস্ব চিত্র। |
বিভিন্ন ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি লালবাজারে এক বৈঠকে প্রতিটি এটিএম কাউন্টারকে সুরক্ষিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে নজরে রাখতে হবে কাউন্টারের দরজা ঠিক রয়েছে কিনা, কাচ ভাঙা থাকলে তা দ্রুত মেরামত করতে হবে, সিসিটিভি ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করা ও অবশ্যই নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা। বৈঠকের পর পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্কগুলিকে তা মেনে চলার জন্য চিঠিও দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও জেলা স্তরে বেশিরভাগ ব্যাঙ্কই এ ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।
মেদিনীপুর শহরের স্টেশন, জজকোর্ট, রাজাবাজার, বটতলাচক-সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে একাধিক এটিএম কাউন্টার রয়েছে। রেলশহর খড়্গপুরেও স্টেশন, মালঞ্চ, কৌশল্যা, আইআইটি-সহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক এটিএম কাউন্টার রয়েছে। দেখা যায়, বেশিরভাগ এটিএম কাউন্টারেই সব সময় রক্ষী থাকে না। যে সব এলাকায় পাশাপাশি ৩-৪টি কাউন্টার রয়েছে, সেখানে সাকুল্যে এক জন রক্ষীর দেখা মেলে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, কোনও একটি ব্যাঙ্কের পক্ষে ১৫-২০টি এটিএম দেখভাল করা কঠিন। তাই বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে তাতে ব্যাঙ্কের ভার কমলেও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে এটিএমের নিরাপত্তা নিয়ে। |
|
|
|
|
|