|
|
|
|
খোঁজ নেই অপহৃত টেলিকম কর্মীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
|
অপহরণের ৮ দিন পরও পশ্চিমবঙ্গের টেলিকম কর্মী এবং দু’জন গাড়ি চালকের সন্ধান পেল না মিজোরাম পুলিশ। অপহরণকারীরা কোনও মুক্তিপণ দাবি না-করায় চিন্তিত তদন্তকারীরা।
মোবাইল টাওয়ার তৈরির কাজ তদারকি করতে মামিত জেলার ডাম্পারেংপুই গ্রামে গিয়েছিলেন দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থার আধিকারিক দীপ মণ্ডল। সেখানেই অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিরা তাঁকে এবং গাড়ি চালক সাংলিয়ানথাঙ্গাকে অপহরণ করে। অস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য গাড়ির চালক লালজামলিয়ানাকেও। ওই দুই চালকের বাড়ি মামিত এবং আইজল শহরে।
পুলিশের দাবি, অপহরণকাণ্ডে ব্রু জঙ্গি অথবা ত্রিপুরার এনএলএফটি জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, ২৫ নভেম্বর জঙ্গলের পথে জোপুই বা থাংগাং হয়ে তিন অপহৃতকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই এনএলএফটি-র ঘাঁটি। অপহরণের প্রতিবাদে ডাম্পারেংপুইয়ে একটি মিছিল বের হয়। মিজোরামের ছাত্র সংগঠন মিজো জিলারাই পাওল (এমজেডপি) এ নিয়ে বৈঠকও করেছে। সংগঠনের তরফে দ্রুত তিনজনকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এমজেডপি জানিয়েছে, ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে অপহৃতদের ছাড়া না-হলে বা পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে না-পারলে ৫ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু হবে।
মামিত জেলার এসপি রোডিংলিয়ানা চাওংথু বলেন, “এ ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতেই হবে। জঙ্গিরা সাধারণত অপহৃতদের হত্যা করে না। মুক্তিপণ পেলে ছেড়ে দেয়। আমরা কখনও অপহৃতদের উদ্ধারে ব্যর্থ হইনি। আশা করি এ বারও তা হবে না।” চাওংথু আরও জানান, বাংলাদেশ পুলিশের কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। এর আগে, ডাম্পা অরণ্যের ছ’জন কর্মীকে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার করতে এক মাস লেগে গিয়েছিল।
গুয়াহাটি-ইম্ফল রুটের একটি বাসের চালককে অপহরণ করেছে নাগা জঙ্গিরা। পুলিশ জানায়, তিন সশস্ত্র যুবক ভিসওয়েমা এলাকায় ওই বাস থামিয়ে চালক থৌডাম রামেকে অপহরণ করে। তাঁর বাড়ি পূর্ব ইম্ফলে। পুলিশ সূত্রের খবর, নাগা জঙ্গি সংগঠন এনএনসি গুয়াহাটি-ইম্ফল বাস পরিষেবা সংস্থার কাছে ২০ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিল। দাবিমতো টাকা না-পাওয়াতেই এই অপহরণকাণ্ড। |
|
|
|
|
|