|
|
|
|
দুর্যোগ মোকাবিলার মহড়া ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলচরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর
|
পাগলা-ঘণ্টি বাজিয়ে একের পর এক দমকলের গাড়ি ছুটছিল শহরের দিকে। হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দ। জরুরি বিভাগে রোগীর ভিড়। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের ব্যস্ততাশুক্রবার শিলচরে এমনই পরিস্থিতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।
উদ্বিগ্ন চোখ-মুখে অনেকে জানতে চাইছিলেন, কী হয়েছে? গুজব ছড়িয়ে যায় করিমগঞ্জ-হাইলাকান্দিতেও। খবর রটে, শিলচরে বিশাল ভূমিকম্প হয়েছে। কয়েকশো মৃত্যু হয়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়েই অনেকে টেলিফোনে জানতে চাইছিলেন, শহরে না কি বড় অগ্নিকাণ্ড হয়েছে? সাংবাদিকদের মোবাইলেও পরিচিত লোকেদের ফোন, ঠিক কী ঘটেছে বলুন তো?
কারণটা যাঁরা জানতেন, তাঁরা নিশ্চিন্তে ছিলেন। সকলের উদ্বেগ কমল পুরোটাই মহড়া সে কথা জানার পর।
শিলচরে আচমকা কোনও দুর্যোগ ঘটলে তার মোকাবিলায় প্রশাসন কতটা প্রস্তুতওই দিন তারই মহড়া চলছিল। পুরো মহড়া দেখেন জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) সদস্য মুজফ্ফর আহমদ এবং কে এম সিংহ। শহরের পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে ছিলেন রাজ্যের যুবকল্যাণ মন্ত্রী অজিত সিংহ। সেখানে অস্থায়ী স্কুল, শপিং মল তৈরি করে মহড়া চলে। দুর্যোগের সময় কতজনকে উদ্ধার করা যেতে পারে, তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা কী হবে---সবই দেখা হয়।
এনডিএমএ সদস্য মুজফ্ফর আহমদ জানান, ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে ‘অতি-স্পর্শকাতর’ স্তরে রয়েছে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত। লোকসংখ্যার ভিত্তিতেই অসমে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভূমিকম্প হলে কী করা উচিত, সেই বার্তা পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হবে।
কাছাড়ের জেলাশাসক গোকুলমোহন হাজারিকার কথায়, “মহড়ায় ঘাটতিগুলি চিহ্নিত করা গিয়েছে। সে গুলি ঠিক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বাড়িগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে। সমীক্ষা চলছে ৩০টি স্কুলবাড়ির পরিকাঠামো নিয়েও।
এর মধ্যে একটি সরকারি দালানবাড়ি, একটি বাজারশেড এবং একটি বেসরকারি হোটেলকে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পূর্ত বিভাগ সেগুলির বিষয়ে শিলচর এনআইটি-র পরামর্শ চেয়েছে। |
|
|
|
|
|