একের পর এক মন্দিরে চুরির কিনারা করতে না পেরে দিন কয়েক আগে সিআইডি-র দ্বারস্থ হয়েছে পুলিশ। তারই মধ্যে বর্ধমানের কেতুগ্রামে অট্টহাস আশ্রমে ফের লুঠপাট চালাল এক দল দুষ্কৃতী। মারধর করা হল এক সন্ন্যাসী ও আশ্রমিককে। আগের ঘটনাগুলির মতো এ ক্ষেত্রেও রবিবার রাত পর্যন্ত অন্ধকারে পুলিশ।
কেতুগ্রামের ঈশানী নদীর পাড়ে রয়েছে এই অট্টহাস আশ্রম। কথিত আছে, একান্ন পীঠের অন্যতম অট্টহাস। সেখানে দেবী সতীর অধঃওষ্ঠ পড়েছিল। ৪ জুলাই মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে চুরি যায় অষ্টধাতুর মূর্তি। তার এখনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। আশ্রমের প্রধান সন্ন্যাসী রামদাস ব্রহ্মচারী জানান, শনিবার গভীর রাতে হঠাৎ কুকরের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। জানালা দিয়ে কিছু দেখতে না পেয়ে এক আশ্রমিক দরজা খুলে বেরোন। তখনই তাঁর মাথায় আঘাত করে ভিতরে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা।
ওই সন্ন্যাসী পুলিশে অভিযোগ করেন, প্রথমে ওই আশ্রমিককে, পরে ঘরে ঢুকে তাঁকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। এর পরে তাঁদের টাকা, মোবাইল ফোন এবং মন্দির থেকে পিতলের রাধাকৃষ্ণ মূর্তি ও বাসনপত্র লুঠ করে তারা। শেষে ওই আশ্রমিক, দু’জন ভক্ত ও তাঁকে একটি ঘরে আটকে রেখে পালায়। চেঁচামেচি শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাঁদের উদ্ধার করেন।
গত কয়েক মাসে অট্টহাস ছাড়াও কেতুগ্রামের নানা এলাকায় মন্দিরের তালা ভেঙে মূর্তি চুরি হয়েছে। নিরোলে গুপ্ত পরিবারের কামাখ্যা মন্দির থেকে চুরি গিয়েছে তিনশো বছরের পুরনো মূর্তি। আমগোড়িয়া, মৌগ্রাম, বড় পুরুলিয়া গ্রামেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে। কোনও ক্ষেত্রেই সূত্র পায়নি পুলিশ। মূর্তিগুলি এলাকায় রয়েছে না পাচার হয়ে গিয়েছে, সে ব্যাপারেও পুলিশ অন্ধকারে। শেষমেশ তদন্তে সিআইডি-র সাহায্য চায় কেতুগ্রাম থানা। সিআইডি তাতে সম্মতি দেয়।
|