বালিগঞ্জ, নিউ টাউন থানার পরে এ বার জগদ্দল। এ বারও মহিলা সহকর্মীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল থানার ওসি-র বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় এক মহিলা কনস্টেবল ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের কাছে জগদ্দল থানার ওসি-র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। কমিশনার অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ব্যারাকপুরের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকে। অভিযুক্ত ওসি-র দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। একই থানায় কাজ করলেও, কাজের চাপে ওই মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে তিনি এখনও ভাল করে কথাও বলে উঠতে পারেননি।
বালিগঞ্জ থানার ওসি বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠায় তাঁকে থানা থেকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিউ টাউন থানার ওসি-র বিরুদ্ধেও সহকর্মী মহিলাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জগদ্দলের ওসি-র বিরুদ্ধে অবশ্য বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রশিক্ষণ শেষ করে মাস দু’য়েক আগে ওই মহিলা কনস্টেবল জগদ্দল থানায় যোগ দেন। তাঁর বাড়ি কল্যাণীতে। মহিলার অভিযোগ, প্রায় প্রতি রাতেই থানার ওসি গৌতম চট্টোপাধ্যায় তাঁকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে বেরোতেন। কারণে-অকারণে অফিস ঘরে অথবা বিশ্রামের জায়গায় ওসি তাঁকে ডেকে পাঠাতেন। এমনকী, ওসি তাঁকে অশ্লীল ছবি দেখতে বাধ্য করতেন বলেও মহিলা কনস্টেবলের অভিযোগ। মহিলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, ওসি গৌতমবাবু তাঁকে একাধিক বার কুপ্রস্তাব দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই কনস্টেবলের অভিযোগ পত্র শুক্রবার সন্ধ্যাতেই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের মহিলা সেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগের প্রাথমিক ভিত্তি জানতে ওই কনস্টেবলকে তড়িঘড়ি ডেকে পাঠানো হয় মহিলা সেলের কার্যালয়ে। একই সঙ্গে পুলিশ কমিশনারের কাছে সুপারিশ করা হয়, অভিযোগের তদন্ত শুরু করতে। সেই মতো রাতেই পুলিশ কমিশনার বিশাল গর্গ তদন্তের নির্দেশ দেন, ব্যারাকপুরের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার শুভঙ্কর ভট্টাচার্যকে। ওই মহিলা কনস্টেবলের অভিযোগ সম্পর্কে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কোনও বক্তব্য শনিবার রাত পর্যন্ত মেলেনি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর টেলিফোন বেজে গিয়েছে।
তবে, ব্যারাকপুরের ডেপুটি কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) দেবাশিস বেজ শনিবার বলেন, “এক মহিলা কনস্টেবল জগদ্দল থানার ওসি-র বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ জনিয়েছেন। এ নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।” |