কিষেণজির মৃত্যুবার্ষিকীতে মাওবাদীদের ডাকা বন্ধে শনিবার জঙ্গলমহলে কার্যত প্রভাব পড়ল না। পুরুলিয়ার বলরামপুরে বন্ধের সমর্থনে ও যৌথবাহিনী প্রত্যাহারের দাবিতে সিপিআই (মাওবাদী) নামে কিছু পোস্টার পাওয়া গেলেও জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। বাঁকুড়ার বারিকুলের কিছু এলাকায় দোকান বন্ধ থাকলেও যান চলাচলে তার প্রভাব পড়েনি। লালগড়ও ছিল স্বাভাবিক। ঝাড়গ্রামের স্কুলগুলিতে বার্ষিক পরীক্ষা হয়েছে।
কিষেণজির স্মরণে ২৪-৩০ নভেম্বর ‘শহিদ সপ্তাহ’ পালন ও রাজ্য সরকারের ‘জনবিরোধী নীতি’র প্রতিবাদে শনিবার জঙ্গলমহলের তিন জেলায় বন্ধের ডাক দেয় মাওবাদীরা। বন্ধের সমর্থনে কিছু দিন আগে গোয়ালতোড়, বিনপুরের দহিজুড়ি ও পুরুলিয়ার আড়শায় মাওবাদীদের নামাঙ্কিত কিছু পোস্টারও পড়ে।
কয়েক বছর আগে বলরামপুর থানার ঘাটবেড়া-কেরোয়া পঞ্চায়েত এলাকা কার্যত মাওবাদীদের ‘মুক্তাঞ্চল’ ছিল। গত মে মাসে শিকার উৎসবের সময়েও এই এলাকায় মাওবাদীদের নামে কিছু পোস্টার মিলেছিল। এ দিন সকালে ওই এলাকার মিরমি গ্রামে মাওবাদীদের নামে পোস্টার পড়ার খবর পেয়ে পুলিশ তা খুলে নিয়ে যায়। এলাকার একটি ছোট পাথর খাদানে এ দিন কর্মীরা কাজে যোগ দেননি। আড়শা ও বাঘমুণ্ডির রাস্তায় কম বাস চলে। পুরুলিয়া শহর ছিল স্বাভাবিক। বাঁকুড়ার বারিকুল থানার পোড়াডি, ফুলকুসমা-সহ কয়েকটি এলাকায় কিছু দোকানপাট বন্ধ থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোনও প্রভাব পড়েনি।
এক সময় মাওবাদী ও জনগণের কমিটির আন্দোলনের কেন্দ্রভূমি ছিল যে লালগড়, শনিবার সেখানেও বন্ধের কোনও প্রভাব পড়েনি। দোকান-বাজার খোলা ছিল। তবে বেলপাহাড়ি ও বিনপুরের কয়েকটি এলাকায় বন্ধের আংশিক প্রভাব দেখা যায়। অন্য দিনের তুলনায় এ দিন এলাকায় পথে বেসরকারি বাস কম ছিল। লালগড়-সহ কয়েকটি এলাকায় জনজীবন স্বাভাবিক রাখার জন্য তৃণমূলের তরফে মাইকে প্রচার চালানো হয়। ঝাড়গ্রাম শহরে দোকানপাট, ব্যাঙ্ক, ডাকঘর, স্কুল, কলেজ সবই খোলা ছিল। ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক এস অরুণপ্রসাদ জানান, এ দিন ঝাড়গ্রাম শহর-সহ মহকুমায় জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। |