খেলাধুলা...
চলমান অশরীরী
ঠাৎ-ই ন্যাড়া মাথা দিয়ে ঢুসোটা মারলেন কার্ট অ্যাঙ্গল! জেফ হার্ডি কপাল সরিয়ে নিতে পারলেন না।
গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে। নাগাড়ে। মাটিতে শুয়ে পড়ে কাতরাচ্ছেন জেফ। স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকের সেই রক্ত দেখে কী উল্লাস! কেউ মুখে শিস দিচ্ছেন, কেউ আনন্দে চিৎকার।
কোনও সিনেমা হলে বসে বড় পর্দায় দেখা নয়। একেবারে লাইভ।
এক জন আত্মবিশ্বাস বাড়াতে রিংয়ে নামার আগে ডুবে থাকেন পানীয়তে। কেউ তাঁকে লক্ষ করে রাস্তায় অশ্লীল মন্তব্য করলে তাঁকে তুলে ছুড়ে ফেলে দেন কুড়ি ফুট দূরে। আর অন্য জন দর্শক টানতে এমন ভাবে ক্যামেরার সামনে পোজ দেন যে, অনায়াসেই তাঁকে বলিউডের সেক্স বম্ব রাখি সাওয়ন্ত বা নেহা ধুপিয়া বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। সেই দুই মেয়ে কুস্তিগির জেসিকা ক্রেসা এবং গেইল কিম রিংয়ে মুখোমুখি।
লড়াই শুরু হয়ে গেল ঘণ্টা বাজতেই। ঘুসি, পাল্টা ঘুসি, দু’পায়ের মাঝে একটা হাত ঢুকিয়ে একে অন্যকে উল্টে কাঠের মেঝেতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা অথবা রিংয়ের বাইরে আছড়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চলল নাগাড়ে। তার পর.....। বিপক্ষকে কাবু না করতে পেরে কিম দৌড়ে বাইরে থেকে নিয়ে এলেন একটা চেয়ার। এনেই সপাটে মারলেন ক্রেসার মাথায়। মাটিতে শুয়ে পড়লেন ওডিবি। যে নামে কোটি সমর্থকের কাছে পরিচিত মস্তান গোছের হাবভাবে অভ্যস্ত জেসিকা। স্টেডিয়াম জুড়ে শুরু হয়ে গেল উৎসব। সঙ্গে চিল-চিৎকার।
কোনও সিনেমার ডামিদের শুটিং নয়, একেবারে বাস্তব। চোখের সামনে দেখা। যুক্তরাষ্ট্রের সান্দিয়াগো ইউনিভার্সিটির ইন্ডোর হলে। টোটাল নন স্টপ অ্যাকশন বা টি এন এ-র ‘বাউন্ড অব গ্লোরি’-র ফাইনালে।
সুশীলকুমার, যোগেশ্বর দত্তদের অপেশাদার কুস্তির সঙ্গে কার্ট অ্যাঙ্গেল, ম্যাগনাসদের পেশাদার কুস্তির পার্থক্য আকাশ-পাতাল। বলা যায় কুস্তির সোপ অপেরা। উত্তেজনা, মস্তি, আবেগ, মজা। আকর্ষণে টইটম্বুর।
স্টিং। নিজের পোস্টারে স্বাক্ষর দিলেন স্যামোয়া জো।
ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিসের মতো ভারতে এখনও জনপ্রিয় হতে পারেনি এই সোপ অপেরা। সঞ্জয় দত্ত এবং রাজ কুন্দ্রা এই পেশাদার কুস্তি চালু করেছেন মুম্বই, দিল্লি, চণ্ডীগড়ে। যার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বক্সার মেরি কম। সুপার ফাইট লিগ নামে চলা এই টুর্নামেন্ট এখনও কিন্তু তেমন জমেনি। তবে টিভির কল্যাণে এই খেলার টি আর পি চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো ভারতেই। আধ কোটি লোক নিয়মিত দেখেন, দাবি টি এন এ-র লোকেদের। তবে বিশ্বজুড়ে এর প্রভাব চমকে দেওয়ার মতো। ১২০টি দেশে ১৪টি ভাষায় নিয়মিত দেখানো হয় এই সোপ অপেরা। বিভিন্ন সংস্থার ব্যবস্থাপনায়।
তবে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্দিয়াগোতেই কার্ট অ্যাঙ্গল, স্টিং, বুলি রে, ভেলভেট স্কাই, গেইল কিম, এজে-দের নিয়ে যা হুড়োহুড়ি দেখলাম তা ভারতে ক্রিকেট-ফুটবল-টেনিস তারকাদের নিয়ে মাতামাতির সঙ্গে পাল্লা দিতেই পারে। নিউ ইয়র্ক, বোস্টনের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, ইংল্যান্ড, কানাডা, গ্রেট ব্রিটেন থেকেও এসেছেন ফ্যানরাতিন ঘণ্টার চমকপ্রদ এপিসোড দেখতে।
টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল তাদের। কে নেই সেখানে। আট থেকে আশিসবাই। বলা যায়। আবালবৃদ্ধ বনিতা। কয়েক জন প্রতিবন্ধীকেও দেখলাম। হুইল চেয়ার নিয়ে বা ক্রাচ নিয়ে হাজির। কিন্তু কীসের টানে এই গড়াপেটার সোপ অপেরা দেখতে আসা।
“আমি কুস্তির ফ্যান। এই খেলার পরিবেশ, উত্তেজনা আমাকে যে আনন্দ দেয় আর কোনও খেলায় তা পাই না। তা সে ফুটবল হোক বা ক্রিকেট,” বলছিলেন ক্রিস কেলি। ইংল্যান্ড থেকে যিনি প্রায় বারো ঘণ্টার ফ্লাইট ধরে এসেছেন সান দিয়েগোতে। “আরে আমি তো কার্ট অ্যাঙ্গলের একটা সই নিতে প্রায় ন’ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে লন্ডন থেকে স্কটল্যান্ড গিয়েছিলাম।”
আর কানাডা থেকে আসা সেই সুন্দরী মেয়েটি? মাইক্রো স্কার্ট পরে প্রায় অর্ধনগ্ন হয়ে হুল্লোড় আর নাচানাচি করে যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল গোটা ফ্লোরে। সেই ভেরোনিকা আবার সটান চুমু খেয়েও ফেললেন ১২০ কেজি ধুমসো চেহারার কুস্তিগির স্যামোয়া জো কে। জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে অবশেষে তৃপ্তি হল তাঁর। “আরে জো হচ্ছে আমার হিরো। খারাপ লোক দেখলেই উচিত শিক্ষা দেয়। কাউকে রেয়াত করে না।” টি এন এর ‘বাউন্ড ফর গ্লোরি’, দেখে বেরেনোর সময় বলছিলেন উচ্ছ্বসিত কানাডিয়ান মেয়েটি।
কিন্তু খারাপ লোক? সেটা আবার কী? সেটা মালুম হল কিছুক্ষণ পর। আর বুঝতে পারলাম এই খারাপ লোক, ভাল লোকের মধ্যেই লুকিয়ে আছে পেশাদার বক্সিংয়ের জনপ্রিয়তার রসায়ন। যা এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ডের মতো দেশে দু’ বা তিন নম্বর জনপ্রিয় খেলা।
সঙ্গে আরও একটা ব্যাপার আছে। ক্রুঢ়তা, নির্মমতা দেখে আনন্দ পাওয়া। মনোবিদরা বলছেন, “মানুষের মধ্যে যে কিলার ইনস্টিংক্ট আছে তাকে জাগিয়ে তোলে এই লড়াই। অতৃপ্ত ইচ্ছার স্বাদ নিতে তাই ছুটে আসেন দর্শক। নেশার মতো দেখেন তাঁরা। নিয়মিত। এটাই পেশাদার বক্সিংয়ের টি আর পি বাড়ায়।”
ধরুন কার্ট অ্যাঙ্গল বনাম ম্যাগনাসের মধ্যে ম্যাচ হবে। ম্যাচের আগে একটা স্ক্রিপ্ট তৈরি করা হয় একজনকে ভিলেন এবং অন্য জনকে পরিত্রাতা বানানোর জন্য। যেমন ‘তুই আমার বৌ-কে রাস্তায় অপমান করিছিলি, আজ ছাড়ব না,’ বা ‘আমার সব সম্পত্তি তুই কেড়ে নিয়েছিস, তোকে আমি ছাড়ব না’ গোছের দর্শককে উত্তপ্ত করার মতো নিখুঁত চিত্রনাট্য। ম্যাচের আগেই তার শুটিং হয়ে গেল। গ্যালারির আশেপাশে, টানেলের মধ্যে।
একটা অন্য রকম জগৎ তৈরি হয় লড়াই শুরুর আগেই। কুস্তির রিং-য়ে দু’ই প্রতিদ্বন্দ্বী আসার আগে পিছনের বিশাল পর্দায় দেখানো হয় সেই আগে তুলে রাখা শুটিং-এর ছবি। ফলে দর্শকরা মানসিক ভাবে তৈরি হয়ে যান কাকে আজ খতম করতে হবে।
শেষ পর্যন্ত মারামারি-রক্তারক্তির পর ভিলেন পরাজিত হয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে ফিরে যান বা রিংয়ে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন যখন, দর্শকরা দারুণ আনন্দ পান। পান মজা। উত্তেজনায় কখনও কখনও সিট ছেড়ে উঠে ধেয়ে আসেন রিং-এর দিকে। বাউন্সাররা তাঁদের আটকান। অনেক সময় রেফারিকেও চিত্রনাট্যে মারার সুযোগ থাকে। তাঁকে ভিলেন বানানো হয় অন্যায় সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য। রেফারি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুই কুস্তিগিরকে থামাতে বাউন্সারের প্রবেশ ঘটে। আরও আছে যিনি মার খেয়ে খোঁড়াচ্ছেন, তাঁকে সাহায্য করতে মেয়ে বক্সাররা প্রেমিকা হয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। ‘আহা...আহা’ বলতে বলতে তিনি পরের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে বলেন প্রেমিককে।
পুরো ব্যাপারটা একেবারে সিনেমার মতো। আলো, অ্যাকশন, ক্যামেরা....। একেবারে লাইভ। টানটান গল্প আর উত্তেজনার টানে ভিড় তো হবেই। ম্যাগনাস নামে পেটানো চেহারার এক কুস্তিগির বলছিলেন, “কুস্তির কায়দাকানুন জানার পাশাপাশি অভিনয় শিখতে হয়। মার খাওয়ার পর মুখটা কেমন হবে, মার দেওয়ার পরও কেমন থাকবে মুখভঙ্গি, সেটা জানতে হয়। তবেই তো দর্শকরা একাত্ম হবেন লড়াইয়ের সঙ্গে।”
বাস্তব জীবনে এই কুস্তিগিররা কেমন? একেবারেই সাদা-মাঠা জীবন। কিন্তু খাওয়াদাওয়াতে মনে হল, বেশ ‘রামসুখ তেওয়ারি’ টাইপ। এক সান্ধ্য পার্টিতে দেখলাম স্টার্টার হিসেবে এক-এক জন সাঁটিয়ে দিচ্ছেন সাত-আটটা বড় আপেল। এক-আধজন ডিম ভুজিয়া নিলেন। কমপক্ষে পাঁচ-ছ’ প্লেটের কমে থামলেন না। তবে শোনা গেল, ম্যাচের আগের দিন কিন্তু এঁরা পুরো পেটে কিল মেরে দিন কাটান।
যে অনুষ্ঠানে কার্ট অ্যাঙ্গলকে ‘হল অব ফেম’ দেওয়া হল, সেখানে স্ত্রী আর পাঁচ ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন প্রাক্তন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। রিং-য়ে যাই করুন সম্মান পাওয়ার পর স্ত্রী আর ছেলেমেয়েদের আদর করতেও দেখলাম। আর অদ্ভুত, এঁদের প্রত্যেকের স্ত্রী কিন্তু রীতিমত সুন্দরী। আর বিয়ে করার অলিখিত শর্ত বোধ হয় একটা আছেই, ‘কনে কুস্তিগির হওয়া চলবে না।’ নইলে বহু খোঁজখবর নিয়েও একজনও কেন এমন কাপ্লকে পেলাম না, যাঁরা দু’জনেই রিং-এ নামেন!
মেয়েদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কিম আবার বিয়ে করেছেন একটি পাঁচ তারা হোটেলের শেফ-কে। হাসতে হাসতে টুর্নামেন্টের সব থেকে সুন্দরী ‘পালোয়ান’ বলছিলেন, “ওর সঙ্গে আমার তো মাসে দু’দিনের বেশি দেখা হয় না। তবে বাড়িতে আমি কিন্তু খুব শান্ত থাকি। স্বামীর সঙ্গে কুস্তি করি না।” বিভিন্ন সাবান-তেল বা পারফিউম কোম্পানি যেমন গ্রাহকের কাছে তাদের পণ্য নানা সময় নানা মোড়কে এনে বিপণন করে, তারকা কুস্তিগিরদের সে ভাবেই হাজির করেন সংগঠকরা। যেমন এ-জে বলে একজন কুস্তি চ্যাম্পিয়নের বিভিন্ন স্টাইলকে বিজ্ঞাপনে ‘এ জে স্টাইল’ বলা হয়। মানিক নামে একজন আবার সব সময় মুখোশ পরে থাকেন। তাঁর মুখটা কেমন, আজ পর্যন্ত নাকি কেউ দেখেনি। অরণ্যদেব আর কী!
এই জনপ্রিয়তার টানে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে এখন কুস্তির অ্যাকাডেমিতে ভিড় জমাচ্ছে। বিশ্ব জুড়ে দু’টি সংস্থাই চালায় পেশাদার বক্সিং। টি এন এ তার একটি। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মতো কুস্তিগির নিয়ে দুই সংগঠনের মধ্যে টানাটানি চলে সারা বছর। তারকা দল বদলালে পিছন পিছন আসে সমর্থক। ফুলে ফেঁপে ওঠে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। স্পনসর তো আসেই। একশো, দুশো ডলারের টিকিট কেটে গ্যালারিতে ভিড় হাজার হাজার দর্শকের।
যেমন ১৯৯৬-এর অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কার্ট অ্যাঙ্গল। আগে তিনি ছিলেন ডব্লিউ ডব্লিউ ই-তে। কয়েক বছর হল এখন টি এন এ-তে। অ্যাঙ্গলের সঙ্গে দলবদল করেছেন কয়েক হাজার দর্শকও। জেফ হার্ডি, বুলি-এরও দল বদলেছেন। ক্যারাটে, জুডো, আইস হকির খেলোয়াড় কী বডি বিল্ডাররা আসেন কুস্তিতে। শুধু আমেরিকাতেই এদের ‘আখড়া’ এক হাজারের বেশি। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, কুস্তিগিরদের বেশির ভাগই আসেন নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে। আগে যাদের কারও বাড়ির ঠিক-ঠিকানা বলতে কিছুই ছিল না। কেউ বাবা-মা পরিত্যক্ত। মেয়ে কুস্তিগিরদের ব্যাপারটা একটু অন্য রকম। কারও স্বামী আছেন। কারও নেই। কিন্তু মোটামুটি বিত্তবান পরিবার থেকে আসেন তাঁরা।
এখান থেকে বিজ্ঞাপনের মেয়ে মডেল খোঁজেন অনেক কোম্পানি। সে জন্যই ওঁরা আসেন। মার খেয়ে, রক্তাক্ত হবেন জেনেও ওঁরা আসেন। কারণ কোটি কোটি টাকা রোজগার। সঙ্গে হলিউডের বিভিন্ন সিনেমায় নামার সুযোগ। টিভি শো-তেও ডাক আসে। এ রকম একটা টিভি শো হয়েছিল কয়েক বছর আগে পুণেতে। নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘রিং কা কিং’। সেখানে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছিলেন ক্রিকেটার হরভজন সিংহ। ওই শো-তে এসেছিলেন জোশেফ পার্ক। নামী কুস্তিগির। সেই শো-তে এসে তাঁর মনে হয়েছে, “ভারতের দর্শকদের মতো দর্শক খুব কমই আছে।” বলছিলেনও সে কথা। হরভজনের কাছে শিখেওছেন, ‘দুসরা।’
আর সেই আগ্রহ দেখেই ভারতে পা ফেলতে চাইছে টি এন এ। বিশাল বাজার ধরতে আসছে তারা সামনের বছরই। তার আগে ভারতের কয়েক জন কুস্তিগিরকে নিয়ে গিয়ে নিজেদের রিং-এ নামাবেন ঠিক করেছেন সংগঠকরা।
কিন্তু কুস্তির এই সোপ অপেরা কি ভারতে বাজার ধরতে পারবে? বিশ্ব বিপণনের দায়িত্বে থাকা সাইমন আশাবাদী। বললেন, “ক্রিকেটের আই পি এল যদি এত জনপ্রিয় হয়, কুস্তিও হবে। এত মজা এখানে!” ওঁর যুক্তি, দর্শক এখন চটজলদি মস্তি পেতে চায়। আর তাই-ই তো ওঁরা বিলোতে আসছেন... তবে কেন ...!

রিং, কিং, কুইন
পুরুষ ও মেয়েদের মিলিয়ে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই একশোটির উপর স্কুল আছে পালোয়ান তৈরির।
কোনও বড় সংস্থায় নাম লেখাতে পারলে বছরে পঞ্চাশ লাখ থেকে এক কোটি টাকা রোজগার।
হলিউডের বিভিন্ন সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ডাক এলে রোজগার আরও বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রে তিন ঘণ্টা শো দেখার জন্য একশো থেকে দু’শো ডলার দামের টিকিট কাটতে হয় দর্শকদের।
পেশাদার কুস্তি চালায় বিভিন্ন লিমিটেড কোম্পানি। মালিক হিসাবে তিন থেকে চার জন প্রোমোটা`র।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.