শিলিগুড়িতে ১৪ জন কাউন্সিলর নিয়ে কংগ্রেস পুরবোর্ড ‘সংখ্যালঘু’ হয়ে পড়লেও তারা বোর্ড ছেড়ে বার হবে না। শুক্রবার জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন। এ দিন দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, “জোট বেঁধে নির্বাচনে জিতে মানুষকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল পালিয়ে গেলেও কংগ্রেস তা করবে না। আমরা বোর্ডে থেকে মানুষকে পরিষেবা দিতে চেষ্টা করব।”
৪৭ আসনের এই পুরসভায় তৃণমূলের ১৫ জন এবং বামেদের ১৮ জন কাউন্সিলর রয়েছে। বর্তমান পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে কোনও রাজনৈতিক দলের নুন্যতম ১৬ জন কাউন্সিলর দরকার। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব সম্প্রতি জানান, আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাঁদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক কাউন্সিলর হয়ে যাবে। তার পর তাঁরা ওই পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনবেন। অন্য দিকে, কারও দল ভাঙিয়ে তৃণমূল অনৈতিক ভাবে বোর্ড করতে চাইলে বামেরা সর্বতোভাবে তার বিরোধিতা করবে বলে বৃহস্পতিবার দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন। তাতে বামেরা পক্ষান্তরে কংগ্রসের পুরবোর্ডকেই সমর্থন করছে বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল।
এ দিন তৃণমূলের অনৈতিক কাজকর্ম, মিথ্যা মামলা নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার অভিযানের কথা জানিয়েছে কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফে কাউন্সিলর তথা জেলা নেতৃত্বের অন্যতম কৃষ্ণ পাল বলেন, “জোটের কথা কংগ্রেসের মুখে মানায় না। ওরাই আগে বামেদের হাত ধরে বোর্ড গড়েছিল। পরে ক্ষমা চেয়ে সিপিএমের সঙ্গ ত্যাগ করার কথা জানায়। আর সংখ্যালঘু হয়ে বোর্ড চালানোর মতো অনৈতিক কাজ তারাই করছে। তৃণমূলের কাউন্সিলররা মানুষের সঙ্গেই আছেন।” |