বাড়িতে ঢুকে ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়ে গণপ্রহারে মৃত্যু হল দুই দুষ্কৃতীর। পালিয়ে গিয়েছে এক জন। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার সুন্দরবন কোস্টাল থানার সাতজেলিয়ার শান্তিগাছিতে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের এক জন ৪ নম্বর মিত্রবাড়ি এলাকার বাসিন্দা কানাই মণ্ডল (৩৪)। অন্য জনের পরিচয় জানা যায়নি। তবে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে পুলিশের অনুমান। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পশ্চিম) কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, “ছিনতাই করতে এসে গণপ্রহারে দুই দুষ্কৃতীরা মৃত্যু হয়েছে। একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ বাড়িতে টিভি দেখছিলেন হরেন মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী। হরেনবাবু ছোটমোল্লাখালির কালিদাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
হরেনবাবু পুলিশকে জানান, হঠাৎ তিন দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে আলমারির চাবি চায়। স্ত্রী চাবি দিতে অস্বীকার করলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে চড় মেরে চাবি কেড়ে নেয়। প্রায় ২৫ হাজার টাকার জিনিস নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেওয়ার সময় হরেনবাবু চিৎকার করতে শুরু করেন। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা এসে দুষ্কৃতীদের তাড়া করলে ধানখেতে লুকিয়ে পড়ে তারা। গ্রামবাসীরা সেখান থেকে দু’জনকে ধরে ফলে। আর একজন গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। এর পরেই শুরু হয় ধৃতদের গণপিটুনি। খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান সুন্দরবন কোস্টাল ও গোসাবা থানার ওসি হিমাংশু দাস ও সুবীর ঢালি। যদিও তার আগেই মারা যায় ওই দুই দুষ্কৃতী। পলাতক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। শেষ পর্যন্ত তাকে ধরার আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। মৃত দু’জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
অন্যদিকে, এ দিনই ডাকাতির উদ্দেশ্য জড়ো হওয়া পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, একটি গুলি, ৪টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |