সম্প্রতি ‘রবিমল্লার ৪১’ অনুষ্ঠিত হল রবীন্দ্রসদনে। সম্মেলক সঙ্গীতের পর সংঘমিত্রা চক্রবর্তীর গানগুলি শ্রুতিমধুর। তবে অনুষ্ঠানে নজর কাড়লেন রাজেশ্বর ভট্টাচার্য। পূজা পর্যায়ের ‘নয় নয় এ মধুর খেলা’ দিয়ে শুরু করে মোট কুড়িটি গানের পরিসমাপ্তি ঘটে ঠুংরি ভাঙা গান ‘খেলার সাথী’ পরিবেশনার মাধ্যমে। বেশ কয়েকটি নাট্যগীতিও ছিল। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রক্তকরবীর ‘ও চাঁদ চোখের জলের’, তাসের দেশের ‘চলো নিয়ম মতে’ শ্রোতাদের মাতিয়ে দেয়। ভৈরবী রাগে ‘তুমি একটু কেবল’ ও ‘যৌবনসরসীনীরে’ গান দু’টি এক অন্য মাত্রা পায় তাঁর স্বকীয় গায়ন ভঙ্গিতে। তাঁর গানের যোগ্য সঙ্গত করেন বিপ্লব মণ্ডল ও সীতাংশু মজুমদার। |
সম্প্রতি রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে ‘ছন্দনীড়’ আয়োজিত ‘শুধু রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে রবীন্দ্রসন্দ্যায় গান শোনালেন শ্রেয়া দাস, সুদেষ্ণা রায়, অন্তরা দাশগুপ্ত, মিতা পোদ্দার ও মধুমিতা রায়। দ্বিতীয়ার্ধে অতিথি শিল্পী শুভেন্দু তালুকদার, সুছন্দা ঘোষ ও প্রবুদ্ধ রাহার গানে শ্রোতারা আপ্লুত হন। সুছন্দার গলায় ‘শাওন গগনে ঘোর ঘনঘটা’ এবং প্রবুদ্ধ রাহার গলায় ‘যেতে দাও গেল যারা’ দীর্ঘ দিন মনে রাখার মতো। পরিশেষে ‘একলা থাকার রবীন্দ্রনাথ’ এই শিরোনামে তৃপ্তি সেন বিভিন্ন গানে মন ভরিয়ে দিলেন শ্রোতাদের। |
শিশির মঞ্চে তরঙ্গ আয়োজিত অনুষ্ঠানে কয়েক জন সহশিল্পীকে সঙ্গে নিয়ে শুরুতেই নীলা মজুমদার গাইলেন ‘বঙ্গ আমার জননী আমার’। পরে শিল্পীর একক নির্বাচনে ছিল কয়েকটি নাটকের গান। গাইবার আগে গানগুলির ইতিহাসও তুলে ধরেছেন তিনি। যেমন ভীষ্ম নাটকের ‘মলয় বাতাসে’, দুর্গাদাস নাটকের ‘যদি এসেছ’, সাজাহান নাটকের ‘আজি এসেছি’ প্রভৃতি গান। দ্বিজেন্দ্রলালের হাসির গানগুলিও গাইলেন তিনি। ‘আমরা বিলাত কর্তা’ সেই যুগে যথেষ্ট সাড়া জাগিয়েছিল। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে ছিল শ্রুতিনাটক। অভিনয়ের মান আর একটু উন্নত হলে ভাল হত। চন্দ্রগুপ্ত নাটকের অংশবিশেষে চাণক্য ও ভিখারির কথোপকথন দৃশ্যে নাটকীয় মুহূর্ত সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। |
সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে সহজিয়া পরিবেশন করল বাউল-ফকির-মারফতি-দরবেশি সহ বাংলা লোকগান। আমেরিকান, স্প্যানিশ, মেক্সিকান, ব্রাজিলের লোকসঙ্গীতও ছিল। দেব চৌধুরীর গাওয়া ‘ফাইভ হানড্রেড মাইলস’, ‘পিরিতে করেছে বৈরাগী’ প্রভৃতি গানগুলি বেশ নজর কাড়ে। কুশলের গলায় মেক্সিকান লোকগান ‘লা-বাম্বা’ ও বাঁশিবাদক বাপ্পার ‘কাজল ভ্রমরা’ দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। কবি অরুণ চক্রবর্তীর কবিতা অবলম্বনে ‘মন দে যৌবন দে’ গানের সময় কবি নিজেই মঞ্চে উঠে এসে সহজিয়ার সঙ্গে গলা মেলান। দেবের নিজের লেখা ও সুরে তিনটি গান ‘এলোমেলো স্বপ্ন’, ‘আটটা চড়াই পাখি’ ও ‘ভোরবেলা জানালায়’ মন্দ নয়। |
সম্প্রতি আইসিসিআর-এ অনুষ্ঠিত হল সঙ্গীতা বসুর একক অনুষ্ঠান। শুরুতেই সংস্থার প্রবীণ শিল্পীদের নিয়ে সঙ্গীতা পরিবেশন করলেন সম্মেলক সঙ্গীত। পরবর্তী পর্যায়ে নির্মলা মিশ্র ও কল্যাণ সেন বরাটকে সংবর্ধনা জ্ঞাপনের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের আলাপচারিতা ও কবিতা পাঠের সঙ্গে বিভিন্ন ধারার গানে সঙ্গীতা উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেন। সঙ্গীতার কণ্ঠে শুনতে ভাল লাগে ‘তোমায় গান শোনাব’, ‘সাতরঙা এক পাখি’, ‘আরও দূরে’ প্রভৃতি গানগুলি। আয়োজক মিউজিক-২০০০। |