এলাকার বাসিন্দারা বছর দেড়েক আগে যে জায়গাকে ‘কালীসাগর’ পুকুর বলে জানতেন, সেই জায়গা সরকারি কাগজে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে রামপুরহাট ১০ নম্বর ওয়ার্ডের থানাপাড়া এলাকায়। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট দফতরের জেলা আধিকারিক শ্যামাশিস রায় বলেন, “যদি এমনটা হয়ে থাকে, তা বেআইনি। আমি কাগজ হাতে পেলে অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।” |
এই জায়গা ঘিরে বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র। |
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছর দেড়েক আগে মাটি ভরাট করার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী থেকে জেলাশাসক, জেলা এবং ব্লক ভূমি আধিকারিক, মহকুমাশাসক, পুরপ্রধানকে জানানো হলেও আইন গত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই আজ শহর জুড়ে নানা জায়গায় ‘বেআইনি’ ভাবে পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে রামপুরহাট ১ ব্লকের ভূমি আধিকারিক মহম্মদ মণিরুদ্দিন বলেন, “বছর দেড়েক আগে প্রথম অভিযোগ আসে, তখন তদন্তে গিয়ে দেখতে পাই পুকুরটি ভরাট হয়ে গিয়েছে। পরে জমির মালিককে একাধিকবার নোটিস করা হয়েছে এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়।” তবে পুকুর বলে উল্লেখিত জায়গায় কী করে এই সময়ের মধ্যে বাড়ি হয়ে গেল, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ওই আধিকারিক। পুরপ্রধান অশ্বিণী তিওয়ারি ও মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “কী করে এরকম হল সেটা বি এল এল আরও-র কাছে জানতে চাইব।” এ দিকে, ওই জায়গার মালিক প্রিয়শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত। রামপুরহাট ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বাড়ি। এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘পরে কথা বলব’। পরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। |