শুক্রবার দুপুরে আনন্দে মেতে উঠল উলুবেড়িয়ার হীরাপুর পঞ্চায়েতের অধীন হীরাগঞ্জ গ্রাম। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ১৫৯টি পরিবারকে এক সঙ্গে এ দিন বিদ্যুৎ সংযোগ দিল। রাত থেকেই আলোয় সেজে উঠল একান্ত দিনমজুর অধ্যুষিত ছোট এই গ্রামটি।
সাধারণত বণ্টন সংস্থা যে ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে থাকে এ দিনের ধরনটি ছিল তার থেকে ব্যতিক্রমী। নিয়ম হল, বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য সংস্থার কাছে আবেদন করতে হয়। আবেদনের ভিত্তিতে সংস্থা গ্রাহককে কোটেশন (বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য যে টাকা গ্রাহককে দিতে হবে তার দাবিপত্র) পাঠায়। কোটেশন জমা দেওয়ার পরে একমাসের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। অনেক সময় এই সময়সীমা নানা কারণে মানা যায় না বলেও সংস্থা সূত্রের খবর।
বণ্টন সংস্থার এক আধিকারিক জানান, যে সব গ্রামে বিদ্যুৎ নেই সেখানে হুকিং করে অনেকে আলো জ্বালান। সেটা বন্ধ করা এবং দিনের পর দিন বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য যাঁরা আবেদন করে বসে আছেন তাঁদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য রাজ্য জুড়েই কার্যত শিবির করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই অঙ্গ হিসাবে এ দিন এক লপ্তে ১৫৯টি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হল বলে জানিয়েছেন বণ্টন সংস্থার উলুবেড়িয়ার ডিভিশন্যাল ম্যানেজার কিঙ্কর সিংহ।
যাঁদের বাড়িতে এ দিন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হল তাঁদের মধ্যে ১২৩ জন কোটেশনের টাকা জমা দিয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময়সীমা অর্থাৎ একমাসের মধ্যেই তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেওয়া হল বলে জানিয়েছেন কিঙ্করবাবু। এ ছাড়া এ দিনই আবেদন করেছেন এমন ৩৬টি পরিবারকেও শিবির থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেওয়া হল। কিঙ্করবাবু বলেন, “এ দিন যাঁরা আবেদন করলেন তাঁদের কাছ থেকে সঙ্গে সঙ্গে কোটেশনের টাকা নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেওয়া হল”
আজ, শনিবার পাঁচলাতেও একই ভাবে শিবির করে একটি গ্রামে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে বলে বণ্টন সংস্থা সূত্রের খবর। এ দিন মুসিয়র, সুলতান, তরুণদের সঙ্গে বিদ্যুৎ পাওয়ার আনন্দ ভাগ করে নিতে হাজির ছিলেন উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পুলক রায়। |