|
|
|
|
এনডিএফবি-র সঙ্গে চুক্তি কেন্দ্র ও রাজ্যের
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অবশেষে এনডিএফবি-র দ্বিতীয় গোষ্ঠীর সঙ্গেও ত্রিপাক্ষিক সংঘর্ষবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করল কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। আজ অসম পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ সদর দফতরে এনডিএফবি (আর)-এর প্রধান রঞ্জন দৈমারির সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব শম্ভু সিংহ, অসম পুলিশের এডিজি পল্লব ভট্টাচার্য, এ পি রাউত বৈঠকে মিলিত হন। দিল্লিতে শম্ভু সিংহ, পল্লব ভট্টাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় ৬০২ জন দলীয় সদস্যের নাম জমা দিয়েছিলেন রঞ্জন। তাদের মধ্যে কয়েকজন বিদ্রোহী সংবিজিৎ গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ায় চূড়ান্ত তালিকায় ৫৭৯ জঙ্গির নাম রাখা হয়।
রঞ্জনরা একে সিরিজের রাইফেল-সহ মোট ৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছে। সে গুলি যৌথ নজরদারিতে তালাবন্ধ থাকবে। এ পি রাউত জানান, পানবাড়ি এবং উদালগুড়িতে রঞ্জন গোষ্ঠীর জঙ্গিদের জন্য আপাতত সরকার স্বীকৃত দু’টি শিবির তৈরি হচ্ছে। শম্ভু সিংহ বলেন, “সব জঙ্গিকে সেই শিবিরে থাকতে হবে। রঞ্জন গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তির পর আলফার পরেশপন্থী ও এনডিএফবি-র সংবিজিৎ গোষ্ঠীর উপর নজর থাকবে।”
২০০৪ সালের ২৪ মে অবিভক্ত এনডিএফবি-র সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হয়েছিল। ২০০৮-এ রঞ্জন দৈমারির নেতৃত্বে এনডিএফবি-র একাংশ ধীরেন বড়োর নেতৃত্ব না-মেনে পৃথক হয়ে যায়। ২০০৮-এ রঞ্জনদের ঘটানো ধারাবাহিক বিস্ফোরণ প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০৯ সালে ভীমাজুলি এবং ২০১০ সালে শোণিতপুরের গণহত্যা-কাণ্ডেও রঞ্জন প্রধান অভিযুক্ত। ২০১০ সালের ১ মে বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া রঞ্জনকে ভারতের হাতে হস্তান্তরিত করা হয়। শান্তি আলোচনার স্বার্থে চলতি বছর জুন মাসে জামিন পান রঞ্জন। এ নিয়ে প্রতিবাদও হয়।
আজ সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হলেও রঞ্জনপন্থীরা যে ভাবে তোলাবাজিতে জড়িয়ে পড়ছে, তা নিয়ে অসম পুলিশ চিন্তিত। জানানো হয়েছে, প্রতি ৬ মাসের ব্যবধানে চুক্তির পূনর্মূল্যায়ন করা হবে। অন্যদিকে, এনডিএফবির সংবিজিৎ গোষ্ঠী ভুটানে ঘাঁটি গেড়েছে বলে জানিয়েছে এসএসবি। এসএসবি প্রধান অরুণ চৌধুরি জানিয়েছেন, ভারত-ভুটান সীমান্তে এনডিএফবি-র বিরুদ্ধে অভিযান চালাবার জন্য সশস্ত্র সীমা বল তৈরি হচ্ছে। |
|
|
|
|
|