|
|
|
|
তীব্র কথা কাটাকাটি আনন্দ ও চিদম্বরমের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২৯ নভেম্বর |
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। কিন্তু গত রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থ বিষয়ক কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সামনেই রীতিমতো ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়লেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম এবং বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার এই কথা কাটাকাটি চলাকালীন নীরবই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শেষে কলহ থামাতে হস্তক্ষেপ করেন মন্ত্রিসভার অলিখিত নম্বর টু, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি।
মন্ত্রিসভার এক সদস্যের বক্তব্য, আনন্দ শর্মাকে এক হাত নেওয়ার জন্য কার্যত তৈরি হয়েই এসেছিলেন চিদম্বরম। আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া নিয়ে বৈঠকে এসেছিলেন আনন্দ শর্মা। তিনি প্রস্তাব রাখতেই বাধা দেন অর্থমন্ত্রী। চিদম্বরম প্রশ্ন তোলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে চুক্তির খসড়া করে ফেললেন, অথচ অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন বোধ করলেন না! আনন্দ শর্মা গোড়ায় দাবি করেন, অর্থ মন্ত্রকের অফিসারদের সঙ্গে তাঁর মন্ত্রকের কর্তারা কথা বলেন। কিন্তু পরক্ষণেই চিদম্বরম বলেন, তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, বাণিজ্য মন্ত্রক এ ব্যাপারে ১৮টি বৈঠক করেছে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়নি। তর্ক গড়াতে গড়াতে শেষ পর্যন্ত কলহে পরিণত হয়। আনন্দ শর্মা বলে দেন, “যা করেছি ঠিক করেছি।” জবাবে চিদম্বরম বলেন, “প্রস্তাব আজ অনুমোদন করতে দেব না।” অবশেষে অ্যান্টনির হস্তক্ষেপে আগামী সপ্তাহে ফের আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়।
দ্বন্দ্ব অবশ্য থামেনি। ওষুধ শিল্পে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রস্তাবে আপত্তি তোলেন অর্থমন্ত্রী। আনন্দ শর্মার প্রস্তাব ছিল, বিরল এবং জীবনদায়ী ওষুধ শিল্পে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ কমিয়ে ৪৯ শতাংশ করা হোক। কিন্তু চিদম্বরম বলেন, সব ক্ষেত্রে যখন বিদেশি বিনিয়োগ টানা হচ্ছে, তখন ওষুধ শিল্পে তা কমানোর চেষ্টা হলে নেতিবাচক বার্তা যাবে। ফলে বাণিজ্য মন্ত্রকের এ প্রস্তাবও কাল পাশ হয়নি। |
|
|
|
|
|