রানিকুঠিতে শৌচাগার তৈরির জন্য অবশেষে আবাসন দফতরের কাছ থেকে জমি পেল পুরসভা। এত দিন জমি না পাওয়ায় প্রস্তাবিত সুলভ শৌচাগার তৈরি সম্ভব হয়নি।
পুরকর্তৃপক্ষের বক্তব্য, রানিকুঠির মোড়ে বা রাস্তার ধারে যেখানেই শৌচাগার তৈরি হোক না কেন তাতে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে যাবে আর অসুবিধায় পড়বেন এলাকার বাসিন্দারা। বিকল্প হিসেবে পুরসভা আবাসন দফতরের কাছে জমি চেয়েছিল। এর পরেই আবাসন দফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার জন্য এলাকায় সমীক্ষা চালায়। অবশেষে আবাসন দফতরের পাশেই একচিলতে জমি পাওয়া যায়। সেই জমিটি পুরসভাকে সম্প্রতি হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজ্যের আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “বাসিন্দাদের অনেক দিনের দাবি এখানে শৌচালয় তৈরি হোক। এর জন্য পুরসভার কোনও নির্দিষ্ট জায়গা ছিল না। তবে আমাদের তৈরি আবাসনের পাশেই এক চিলতে জমি ছিল। সেখানেই এই শৌচালয় তৈরি হবে।”
তবে প্রশ্ন ওঠে, রাস্তার ধারে, আবাসনের পাশে শৌচাগার তৈরি করলে বাসিন্দারা আপত্তি জানাতে পারেন। অরূপবাবু জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আবাসনের পাশে জমিতেই আধুনিক মানের এই প্রকল্প তৈরি করা হবে।
রানিকুঠির মোড়ের কাছেই বাসস্ট্যান্ড ও দোকানবাজার থাকায় এখানে বহু লোকের যাতায়াত। রাস্তার ধারে একটি খোলা প্রস্রাবাগার থাকলেও সেটি অস্বাস্থ্যকর এবং ব্যবহারের অযোগ্য। সেখানে নেই কোনও জলের ব্যবস্থা।
এলাকার বাসিন্দারা পুরসভাকে এ ব্যাপারে অনেক দিন আগেই আর্জি জানিয়েছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কমল চক্রবর্তী জানান, এখানে দীর্ঘদিন ধরেই একটি স্বাস্থ্যসম্মত সুলভ শৌচালয় প্রয়োজন। পুরসভাকে বার বার জানিয়ে লাভ হয়নি। আবাসনের বাসিন্দারাও জানান, আবাসন দফতরের জমিতে হলেও আবাসনের ভেতরে শৌচাগার হচ্ছে না। ফলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে কোনও আপত্তি থাকতে পারে না।
স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুরসভার মেয়র পারিষদ (জজ্ঞাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “প্রকল্পটি এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ। এত দিন জমি না পাওয়ায় আটকে ছিল। সম্প্রতি, আবাসন দফতরের কাছ থেকে জমি পাওয়া গিয়েছে। এর পরে দরপত্র ডাকা হবে।” কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার বলেন, “শহরের অনেক জায়গাতেই সুলভ শৌচাগার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তার মধ্যে এটি একটি। তবে জমির অভাবে অনেক জায়গাতেই সময়মতো এই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত করা যায়নি।” |