একটি বহুতল চত্বর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে চেতলা থানা এলাকার আলিপুর রোডে। মৃতের নাম রাজু গোয়েন্কা (৫০)। বি টি রোডের ধারে বেলঘরিয়ায় সরকারি আবাসনে থাকতেন তিনি। পেশায় ছিলেন ইন্টিরিয়র ডিজাইনার। কী ভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল, এ দিন রাত পর্যন্ত পুলিশ তা নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেনি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই বহুতলের সাততলায় একটি ফ্ল্যাটের বারান্দায় ইন্টিরিয়র ডিজাইনের কাজ করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে এবং ওই বহুতলের নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ওই ফ্ল্যাটটি প্রবীণ অগ্রবাল নামে এক ব্যক্তির। তিনি স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে সেখানে দিন পনেরো ধরে থাকছেন। তাঁর ফ্ল্যাটে ইন্টিরিয়র ডিজাইনের কাজের বরাত ছিল রাজুবাবুর উপরে। তিনি গত কয়েক দিন ধরেই কাজ করতে আসছিলেন। রোজকার মতো প্রবীণ এ দিনও সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ কাজে বেরিয়ে যান। ফ্ল্যাটে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও শিশু পুত্র।
পুলিশ জানায়, সকাল ১০টা নাগাদ বারো তলা ওই বহুতলের পিছনের দিকের বাগানে রাজুবাবুকে চিৎ হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন এক নিরাপত্তারক্ষী। কাছে গিয়ে তিনি দেখেন, ওই ব্যক্তির চোখ বন্ধ। ঘাড়ের কাছে ছিটেফোঁটা রক্তের দাগ লেগে আছে। রাজুবাবুকে নড়াচড়া করতে না দেখে ওই নিরাপত্তারক্ষী তাঁর সহকর্মীদের ডাকেন। তাঁরাই প্রবীণকে খবর দেন।
পুলিশ জানায়, প্রবীণের কাছ থেকে টেলিফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চেতলা থানার পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে প্রবীণের স্ত্রী ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ করে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, রাজুবাবু প্রবীণের সাত তলার ফ্ল্যাটের খোলা বারান্দায় এ দিন কাজ করছিলেন। পুলিশ জেনেছে, বছরখানেক আগে রাজুবাবুর মা ও স্ত্রী মারা গিয়েছেন। রাজুবাবু তাঁর শিশুকন্যাকে নিয়ে থাকতেন। পুলিশের অনুমান, প্রবীণের ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে কোনও ভাবে পা পিছলে পড়ে রাজুবাবুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। |