জলাশয়ের মাঝে দু’টি ছোট দ্বীপ। দ্বীপ দু’টি গাছগাছালিতে ভরা। দুই দ্বীপের মাঝে একটি লম্বা সাঁকো। এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যেতে নৌকার ব্যবস্থাও আছে। ইচ্ছে হলে আপনিও এই দ্বীপে যেতে পারেন। বেশি দূর নয়, শুধু ভিআইপি রোডের পাশে বাঙুর ও দমদম পার্কের মাঝের নয়ানজুলিতে পৌঁছতে হবে।
ভিআইপি রোড বরাবর নয়ানজুলিগুলি নানা কারণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কোথাও আবার সংস্কারের অভাবে নয়ানজুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অথচ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য নয়ানজুলির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাজ্যের পূর্ত দফতর ও পরিবেশ দফতরের উদ্যোগে ভিআইপি রোডের ধারে নয়ানজুলিগুলির সৌন্দর্যায়ন করা হচ্ছে।
|
এখানেই হবে সৌন্দর্যায়ন। ছবি: শৌভিক দে। |
পূর্ত দফতর ও দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রে খবর, ভিআইপি রোড বরাবর বাঙুর থেকে দমদম পার্ক পর্যন্ত নয়ানজুলির সৌন্দর্যায়নের কাজ হবে। সম্প্রতি এই কাজের সূচনা করেন পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। উপস্থিত ছিলেন অন্য নেতা, মন্ত্রীরাও।
পূর্ত দফতরের দাবি, নয়ানজুলির সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা শহরে প্রথমে। পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার বলেন,‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জল ধরো জল ভরো’ নীতির কথা বলেছেন। জলাশয় সংরক্ষণের জন্য নয়ানজুলি সংরক্ষণ জরুরি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা।”
কী হবে?
পূর্ত দফতর ও দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, প্রায় এক কিলোমিটার অঞ্চলে সৌন্দর্যায়নের কাজ হবে। দুই দ্বীপে থাকবে নানা ধরনের ফল ও ফুলের গাছ। |
সৌন্দর্যায়নের নকশা। গ্রাফিক: প্রবাল ধর। |
এমন কিছু ফলের গাছ থাকবে যা পাখির প্রিয়। নানা রঙের ফুলে প্রজাপতি ভিড় জমাবে। বসার ব্যবস্থা থাকবে। দুই দ্বীপের মাঝে থাকবে কাঠের সেতু। দ্বীপের কাছেই থাকবে ভাসমান ফোয়ারা। গানের তালে তালে ফোয়ারার জলের রং বদলে যাবে। থাকবে বোটিংয়ের ব্যবস্থাও। নয়ানজুলির দু’ধারেও বসার ব্যবস্থা থাকবে। যেখান থেকে বোটিং শুরু হবে সেখানে একটা ছোট ক্যাফেটেরিয়া তৈরির পরিকল্পনাও আছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
স্থানীয় কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আগামী জানুয়ারির মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্চ।” দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারপার্সন অঞ্জনা রক্ষিত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সৌন্দর্যায়নের উপরে জোর দিয়েছেন। তাই এই কাজ হচ্ছে। সৌন্দর্যায়নের কাজ পূর্ত দফতর করছে। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পুরসভার। এর উল্টো দিকে, বাঙুর থেকে লেকটাউনের দিকের নয়ানজুলিগুলির সৌন্দর্যায়নের কাজ পুরসভাই করার কথা ভাবছে।” |