বেশ কয়েক দশক আগে কোচবিহারের প্রত্যন্ত গ্রাম ভেটাগুড়িতে জিলিপি তৈরি শুরু করেছিলেন বিধুভূষণ নন্দী। তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছিল চার দিকে। দুই দশক হতে চলল তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাও বিধূবাবুর জিলিপির টানে এখনও মেলায় ভেটাগুড়ির জিলিপির দোকানে ভিড় করছে বাসিন্দারা। বিধুবাবুর নাতি অসিত নন্দী জানান, দিনে ১০ কুইন্টাল জিলিপি বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, “মেলা সবে জমতে শুরু করেছে। আর দু’-এক দিন পেরিয়ে গেলে বিক্রি ১৫ কুইন্টাল পেরিয়ে যাবে।” |
তৈরি হচ্ছে ভেটাগুড়ির জিলিপি। মঙ্গলবার ছবি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জ দেব। |
বহু বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এসে ভেটাগুড়িতে মিষ্টির দোকান শুরু করেন বিধুবাবু। তাঁর তৈরি জিলিপির সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাসমেলায় দোকান নিয়েও জিলিপি বিক্রি শুরু করেন বিধুবাবু। বিক্রি বাড়ছে দেখে ছেলেদেরও তিনি ওই ব্যবসায় নিয়ে আসেন। ১৯৯৫ সালে বিধুবাবু মারা যান। তাঁর পর বড় ছেলে দিলীপবাবু রাসমেলায় জিলিপির দোকান করতেন। কয়েক বছর আগে তিনিও মারা যান। এখন বিধুবাবুর আরেক ছেলে বিশ্বজিৎ এবং নাতি অসিত ব্যবসা চালাচ্ছেন। অসিত জানিয়েছেন, এ বার তাঁরা বেশ বড় একটি জায়গা নিয়ে বসেছেন। ১১ জন কারিগর দিন-রাত জিলিপি তৈরি করছেন। খদ্দের সামলাতে দোকানে আরও ২০ জন কর্মী আছেন। কর্মীরা জানান, সন্ধে হলে বেশি খদ্দের ভিড় জমান। কয়েক জনকে ব্যস্ত থাকতে হয় টেবিলে দেওয়ার জন্য, কয়েক জন ব্যস্ত থাকেন তা প্যাকেট করতে। |