চিকিৎসার অভাবে প্রায় সাত মাস আগে কেনা হয়েছিল ডিজিট্যাল এক্স-রে যন্ত্র। খরচ হয়েছিল প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। কিন্তু দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ফিল্মের অভাবে ব্যবহারই হচ্ছে না সেই যন্ত্র। ফলে, গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে বাইরে থেকে এই ধরনের এক্স-রে করাতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, সমস্যার কথা ঊর্ধ্বত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ এক্স-রে যন্ত্রের তুলনায় অনেক বেশি নিখুঁত ছবি তোলার জন্য হাসপাতালে বসানো হয়েছে এই ডিজিট্যাল এক্স-রে যন্ত্র। হাত, পা বা বুকের কোনও সমস্যায় এই যন্ত্রে এক্স-রে করালে ছবি অনেক পরিষ্কার হয়। তাতে চিকিৎসা করতে সুবিধা হয়। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও শুধুমাত্র ফিল্মের অভাবে এই মূল্যবান যন্ত্র হাসপাতালে এসে পড়ে রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যন্ত্রটি যে সংস্থার, সেই সংস্থারই ফিল্ম ব্যবহার করতে হবে। খোলা বাজারে এই ধরনের ফিল্ম পাওয়া যায় না, সাধারণ এক্স-রে যন্ত্রের ক্ষেত্রে যা সহজলভ্য। এর ফলেই দুর্গাপুরে ডিজিট্যাল এক্স-রে যন্ত্রের কোনও সুফল রোগীরা পাচ্ছেন না। ন্যূনতম দু’শো টাকা খরচ করে বাইরে নানা বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এই এক্স-রে করাতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে চিন্ময় বাদ্যকর নামে এক ব্যক্তি জানান, তাঁর ছেলের ডিজিট্যাল এক্স-রে করাতে বলেছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এই মহকুমা হাসপাতালে সেই সুযোগ না থাকায় বিধাননগরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। চিন্ময়বাবুর কথায়, “এমনিতেই আমাদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। চিকিৎসা করানোর জন্য সবার কাছে সাহায্য চেয়েছি। তার পরে হাসপাতালে এসে যদি চিকিৎসার সব রকম সুবিধা না পাওয়া যায়, তবে আমাদের মতো মানুষদের খুবই অসুবিধা হয়।”
ওই ফিল্ম কেন সংস্থাটি সরবরাহ করতে পারছে না, তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেননি। সুপার দেবব্রত দাস জানান, বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। |