শহরের নতুন পুরপ্রধান হতে চলেছেন বিদায়ী পুরপ্রধান অসীম সাহাই। তৃণমূলের নদিয়া জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত মঙ্গলবার সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। গৌরীবাবু বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অসীমবাবুই পুরপ্রধান হচ্ছেন। দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় সেটা ঘোষণাও করে দিয়েছেন। উপ-পুরপ্রধান সহ অন্য পদগুলি দলের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে কাউন্সিলররাই ঠিক করবেন।”
তৃণমূল সূত্রে খবর, পুরভোটের সামান্য আগে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময়েই স্থির হয়ে গিয়েছিল, অসীমবাবুকে সামনে রেখেই পুরসভা নির্বাচনে লড়াই করবে তৃণমূল। ভোটে জেতার পরে অসীমবাবুই পুরপ্রধান হবেন, এমনটাও তখনই কথা হয়ে গিয়েছিল বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর।
অসীমবাবুর নিজের বক্তব্য, “তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগেই মুকুলবাবুর সঙ্গে আমাদের যে কথা হয়েছিল, তাতে ঠিক হয়েছিল, দল জিতলে আমিই পুরপ্রধান হব। সেই মতো আমরা আর অন্য কিছু না ভেবে আগামী দিনে শহরের উন্নয়ন নিয়ে ভাবছি।” ১৯৯৮ সালে প্রথম নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অসীমবাবু। সে বার ভোটে জিতে উপপ্রধান নির্বাচিত হন। পরপর দু’বার উপপ্রধান থাকার পর ২০০৮ সালে পুরপ্রধান হন অসীমবাবু। এর পর আবার পুরপ্রধান হতে চলেছেন তিনি। অসীমবাবুর বাবা বিশ্বজিৎ সাহাও ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত টানা কাউন্সিলর ছিলেন। অসীমবাবু বলেন, “এবার বোর্ড গঠনের পর আমরা এই শহরকে পুরোপুরি আধুনিক মানের করে গড়ে তুলতে চাই। এবার আমরা বেশি গুরুত্ব দেব নিকাশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজার জন্য। তারপর ঘুর্ণি-সহ পিছিয়ে পড়া এলাকায় রাস্তা তৈরি করব।”
সোমবার ফল ঘোষণার পর শহর জুরে রীতিমতো উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন তৃণমূল সমর্থকেরা। রাত পর্যন্ত মোড়ে মোড়ে বেজেছে বাজনা। সেই দুর্গাপুজো থেকে শুরু হয়েছিল এই শহরের উৎসবের আবহ। তারপরে একে একে কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো। তারপরেই এসে পড়ে শহরের পুরভোট। সোমবার ফল প্রকাশ পর্যন্ত তাই যেন টানা উৎসবের রেশ ছিল। শহর কখনও সেজেছে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে, কখনও জগদ্ধাত্রী পুজোর আলোর সাজে আবার কখনও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফেস্টুন, পোস্টারে।
কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে শহর যেন আবার চেনা ছন্দে ফিরেছে। শুধু পাড়ার মোড়ে আর চায়ের দোকানে চলেছে ভোটের ফল নিয়ে অলস আলোচনা। |