|
|
|
|
টেট-এ অসফলদের ভাঙচুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় (টেট) অনুত্তীর্ণরা এ বার বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে ভাঙচুর চালালেন শিক্ষক শিক্ষণ কেন্দ্রে। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে তমলুকের কেলোমাল এলাকার সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ কলেজে। এদিন দুপুরে ওই কলেজের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে আসেন দু’শোরও বেশি ‘টেট’ অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী। তমলুক-পাঁশকুড়া সড়কের ধারে কলেজের সামনে বিক্ষোভের পর নিজেদের দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেন বিক্ষুব্ধেরা। গণ্ডগোলটা বাধে এরপরেই। |
|
শিক্ষক পদপ্রার্থীদের তাণ্ডব। কেলোমালে নিজস্ব চিত্র। |
বিক্ষোভকারীরা আচমকা ক্ষেপে উঠে কলেজের অফিসে তালা মেরে দেয় ও কলেজের নতুন ভবন লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। চেয়ার-টেবিল, জানলার কাচ ভাঙচুর করে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বাহিনী যায় ঘটনাস্থলে। তার আগেই অবশ্য বিক্ষোভকারীরা চলে গিয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষা রীতা মজুমদার বলেন, “এদিন যারা স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে আমাদের কলেজের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা প্রাথমিকে নিয়োগ করার দায়িত্বেও নেই। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীদের স্মারকলিপি নিয়েছিলাম। কিন্তু আমার অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই আচমকা বিক্ষোভকারীরা মারমুখী হয়ে ওঠে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।” বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, “নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফলাফলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অধিকাংশই বাদ পড়েছে। এই বঞ্চনার প্রতিবাদে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।” কিন্তু পরীক্ষায় পাশ করতে না পারার বিষয়টি তো একান্তই ব্যক্তিগত? পাশই না করতে পারলে নিয়োগে অগ্রাধিকার হবে কোন যুক্তিতে?
বলাবাহুল্য এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি বিক্ষোভকারীরা। সোমবারই পাঁশকুড়ার কনকপুরে একটি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক- শিক্ষণ কলেজে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল ‘টেট’ অনুত্তীর্ণদের একাংশ। এ দিন ফের একটি কলেজে বিক্ষোভ-ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি গোপাল সাহু বলেন, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষণ কেন্দ্রে এই ধরনের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা পুরো বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|