সচিন-পন্টিংই বদলে দিয়েছে, বলছেন কোচ
কটা সময় তাঁকে বলা হত মহম্মদ আজহারউদ্দিন এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের যোগ্য উত্তরসূরি। তাঁর টেস্ট খেলা ছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু কিছুটা খারাপ ফর্ম এবং তারপর আইসিএলে যোগ দিয়ে জাতীয় দলে ঢোকার লড়াই থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন অম্বাতি রায়ডু। সেখান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট-ওয়ান ডে দুটো দলেই তাঁর সুযোগ পাওয়াকে রূপকথার প্রত্যাবর্তন বলছে ক্রিকেট মহল। আর রায়ডুকে যিনি ছোটবেলা থেকে তৈরি করেছেন, তাঁর সেই কোচ কাম মেন্টর বিজয় পল মনে করেন, রায়ডুর প্রতিভা আছে এই সুযোগকে কাজে লাগানোর।
“অনেক দিন অপেক্ষা করে এই সুযোগটা পেল রায়ডু। একটা সময় ভারতীয় দলের জন্য ওকে ভাবা হত। তারপর শুধু জাতীয় দলের রেডার থেকেই নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও ও হারিয়ে যেতে বসেছিল। কিন্তু কখনও লড়াই থেকে সরে আসেনি। সেই পরিশ্রমের দামটা এখন ও পাচ্ছে,” মঙ্গলবার ফোনে বলছিলেন বিজয়।
রায়ডুর জীবনে টার্নিং পয়েন্টটা ঠিক কী? অনেকেই মনে করেন, আইসিএল থেকে ২০১০ সালে আবার ভারতীয় ক্রিকেটের মূলস্রোতে ফিরে আসাটাই বদলে দিয়েছে রায়ডুর ভাগ্য। এরপর সচিন তেন্ডুলকরের মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তুলে নেয় এই ব্যাটসম্যানকে। প্রথম দিকে আইপিএলে তিন নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এবং সে সুযোগ কাজে লাগান। পরে ফিনিশার হিসাবেও মুম্বইকে ম্যাচ জেতান রায়ডু। বিজয় বলছিলেন, “আইপিএলে রায়ডুর পারফরম্যান্স কিন্তু ওকে দারুণ সাহায্য করেছে ক্রিকেটের মূলস্রোতে ফিরে আসতে। ছোটবেলা থেকেই রায়ডুর স্টান্স, গ্রিপ দেখে বোঝা যেত, ও টেকনিক্যালি যথেষ্ট মজবুত। প্রতিভাও আছে। সহজে গ্যাপ খুঁজে নিয়ে রানও করতে পারত। সমস্যা ছিল ধারাবাহিকতা। এরপর সচিন এবং পরে রিকি পন্টিংয়ের থেকে অনেক কিছু শিখে নিজেকে বদলে ফেলে রায়ডু। এখন ও অনেক উন্নত ব্যাটসম্যান।”
বিজয় মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ভারতের হয়ে যে কয়েকটা ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন রায়ডু, তাতে তাঁকে যথেষ্ট পরিণত দেখিয়েছে। “জিম্বাবোয়েতে আপনারা যদি ওর ব্যাটিং দেখে থাকেন, তা হলে বুঝবেন কী ভাবে চটকদার শটগুলো ও ছেঁটে ফেলেছে। অনেক পরিণত লাগছিল ওকে। আমি যেন অন্য এক রায়ডুকে দেখছিলাম। বিশেষ করে ওর তরুণ বয়সের সঙ্গে তুলনা করলে।”
বয়স ২৮ হয়ে গেলেও ভারতীয় ক্রিকেটের নিরিখে এখনও ‘নবীন’ রায়ডু। বর্তমানে বরোদার হয়ে রঞ্জি খেলেন। এবং হায়দরাবাদ থেকে সেখানে যাওয়াটাও নাকি রায়ডুকে অনেক সাহায্য করেছে। “বরোদার হয়ে রঞ্জি খেলাটা রায়ডুকে অনেক সাহায্য করেছে। ও খেলাটাকে উপভোগ করতে পারছে। মানসিক ভাবেও ও খুব শক্তপোক্ত হয়ে উঠেছে। যেটা ওকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য তৈরি করে তুলবে,” বলছেন আশাবাদী কোচ।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.