কানপুরের ম্যাচটা যে কোনও দিকে যেতে পারে। সকাল ন’টায় ম্যাচ শুরু মানে সিরিজ-নির্ণায়ক ম্যাচের টস ফের খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
দু’দিন আগে নিজেদের উন্নত পারফরম্যান্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিশ্চয়ই তেতে আছে। বিশাখাপত্তনম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্সের যে ব্যাপারটা আমাকে সবচেয়ে প্রভাবিত করেছে সেটা হল, ভাবনাচিন্তা করে ফিল্ড সাজানো আর বোলারদের উন্নত শৃঙ্খলা। আগের ম্যাচগুলোয় এগুলো দেখতে পাইনি। যার জন্য ক্যারিবিয়ান সমর্থকেরা নিশ্চয়ই খুব বিরক্ত ছিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টপ অর্ডারও যথেষ্ট ভাল খেলেছে। মার্লন স্যামুয়েলসকে কিন্তু নিজেকে গুছিয়ে নিতে হবে। ও বিপজ্জনক প্লেয়ার আর সত্যিকারের ম্যাচ-উইনার। কিন্তু নিজেকে সুযোগ না দিলে সেটা করা যাবে না। ওকে মাথায় রাখতে হবে যে, এটা কুড়ি নয়, পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ। |
অন্য দিকে আগের ম্যাচের হার নিয়ে ভারতকে খুব বেশি ভাবতে হবে বলে মনে হয় না। ফিল্ড করতে নামার সময়ই মাঠটা শিশিরে ভিজে গিয়েছিল সে দিন। সেখান থেকে শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচটা নিয়ে যেতে পারা যথেষ্ট প্রশংসনীয়। এই পরিস্থিতিতে বোলিং আর ফিল্ডিং করা সত্যিই কঠিন হয়ে যায়। তা ছাড়া আউটফিল্ড দ্রুত হয়ে যাওয়ায় বলে প্রায় পুরো সময়টাই ধোনিরা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল।
ভারতের দিক থেকে দেখতে হলে সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হল, যে ভাবে বিরাট কোহলি ওর ইনিংসগুলো নিয়ে ভাবছে। ভাল ছন্দটা একেবারেই নষ্ট করার মেজাজে নেই বিরাট। প্রতি ম্যাচের পাল্টে যাওয়া পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রথম দিকে ক্রিজে যে কিছুটা সময় কাটাতে হয়, সেটা করতে একদম তৈরি ও। তার উপর হালফিল ওর শট নির্বাচন প্রচণ্ড উন্নতি করেছে বলে ধারাবাহিকতা পেয়ে গিয়েছে। সত্যি, বিরাট এই মুহূর্তে অসাধারণ ফর্মে রয়েছে। এর আগে এই ফর্ম্যাটে বিরাটের বয়সি অন্য কেউ এত ভাল ব্যাট করেছিল কি না, রীতিমতো মাথা চুলকে বের করতে হবে। আর এটা কিন্তু সচিন তেন্ডুলকর আর স্যর ভিভ রিচার্ডসের কথা মাথায় রেখেই বলছি। এখনও অন্তত এক দশক খেলে যেতে পারবে বিরাট। ভেবে দেখুন কয়েক বছর পরে ওর রেকর্ডগুলো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।
ঘরের মাঠে মরসুমটা জিতে শেষ করা ভারতের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন সফরের আগে যাতে মানসিক ভাবে টিমটা চাঙ্গা থাকতে পারে। যুবরাজ বা রায়না একটা বড় ইনিংস খেলে দিলে সেটাও টিমকে তাতিয়ে দেবে। এই একটা ব্যাপারে এই মরসুমে ভারত খুব বেশি ধারাবাহিকতা পায়নি। |