ওড়িশার ধান ব্যবসায়ী রাখালচন্দ্র শ্যামলকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল রেলপুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোড থেকে সোমবার আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর লুঠ হওয়া ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ দিন দুপুরে রেল পুলিশের বাঁকুড়ার ওসি সুভাষচন্দ্র জানা প্রথমে ধৃত দু’জনকে নিয়ে চন্দ্রকোনা রোড পুলিশ ফাঁড়িতে আসেন। ওই ফাঁড়ির পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় নয়াবসত গ্রাম থেকে দিলীপ জানাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বাড়ি থেকেই মেলে আড়াই লক্ষ টাকা। ধৃত দিলীপকে বাঁকুড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ধৃত অচিন্ত্য ঘোষ ও শম্ভু ঘোষের কাছ থেকে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে রেল পুলিশের দাবি।
ঘটনাটি ১৯ নভেম্বরের। ওই দিন সকালে শালবনির ভাদুতলার কাছে রেললাইনের পাশে রাখালচন্দ্রবাবুর দেহ উদ্ধার করে রেলপুলিশ। তাঁর বাড়ি ওড়িশার জাজপুর জেলার রাহাল গ্রামে। দেহ উদ্ধারের সময়ই রেল পুলিশ কর্মীদের সন্দেহ হয়। দেহে কোনও কাটার দাগ ছিল না। তদন্তে নামে রেল পুলিশ। এরপরই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসে। ২০ নভেম্বর দিলীপকুমার শ্যামল নামে এক ব্যক্তি পুলিশের কাছে জানান, তাঁর খুড়তোতো দাদা নিখোঁজ রয়েছেন। ১৭ নভেম্বর প্রায় ২০ টন ধান নিয়ে ওড়িশা থেকে আরামবাগের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। ১৮ নভেম্বর আরামবাগ থানার বেঙাই এলাকার একটি চালকলে ধান বিক্রি করেন তিনি। লরিতে তাঁর সঙ্গী ছিলেন চালক অচিন্ত্য ঘোষ, বাড়ি শালবনির ছাতনি গ্রামে। অন্য জন খালাসি, নাম শম্ভু ঘোষ। বাড়ি শালবনিরই শালছেত্রী গ্রামে। তদন্তে নেমে রেল পুলিশ জানতে পেরেছে, মেদিনীপুর আসার পথে ভাদুতলায় ওই ধান ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়। সুভাষবাবু বলেন, “ধৃত দিলীপ ছিনতাই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তার সঙ্গে লরির চালক ও খালাসির যোগাযোগ রয়েছে। চালকই ওই ধান ব্যবসায়ীর কাছে কত টাকা সেই খবর দিলীপকে দিয়েছিল। সেই মতো খুনের ছক কষা হয়।” তদন্তে নেমে লরির চালক অচিন্ত্য ও খালাসি শম্ভুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। |