|
|
|
|
সময়ে গ্রাম সংসদের বৈঠকের দাবি মঞ্চের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সময় মতো গ্রাম সংসদের বৈঠক ডাকা সহ কয়েকটি দাবিতে মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরে এক সভা করে ‘পশ্চিমবঙ্গ জীবন জীবিকা সুরক্ষা মঞ্চ’। মঞ্চের পক্ষে ঝর্না আচার্য বলেন, “আমাদের সংগঠন পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষের আর্থিক সামাজিক উন্নয়ন, অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে। গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের অধিকার। সঠিক ভাবে গ্রাম সংসদ পরিচালনার লক্ষ্যে প্রচার করে। জনমত সংগঠিত করে।” তাঁর কথায়, “আমরা দেখছি, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সময় মতো গ্রাম সংসদ সভা ডাকা হচ্ছে না। সংসদ সভাগুলো খাতায়কলমে হয়ে যাচ্ছে। ফলে, স্থানীয় গ্রামবাসীদের বক্তব্য- মতামত গুরুত্ব পাচ্ছে না। তাঁদের প্রস্তাব মতো কাজ হচ্ছে না। প্রতিবাদে জনমত সংগঠিত করতেই আমাদের এই সভা।” এই দাবিতে আগামী দিনে বিডিও অফিসে দরবার করা হবে বলেও মঞ্চের পক্ষ থেকে এ দিন জানানো হয়েছে। |
|
জীবন-জীবিকা সুরক্ষা মঞ্চের সাংবাদিক সম্মেলন। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
সাধারণত, গ্রাম সংসদের বৈঠক বছরে দু’বার করতে হয়। নভেম্বর আর মে মাসে। বৈঠকের আগে এলাকায় প্রচার করে গ্রামবাসীদের বৈঠকের কথা জানাতে হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত চাইলে অবশ্য আরও বেশি সংখ্যক সংসদ সভা ডাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধে নেই। গ্রাম সংসদের বৈঠক ডাকে গ্রাম পঞ্চায়েতই। কবে, কোথায়, কখন বৈঠক হবে, তা নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয় পঞ্চায়েত। সংসদ সভায় উপস্থিত গ্রামের মানুষ নিজ নিজ মতামত জানান। কী কী কাজ করতে হবে, প্রস্তাব দেন। তার উপর ভিত্তি করেই প্রকল্প তৈরি হয়। ঠিক হয়, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোন কোন কাজ হবে। পাশাপাশি, আগের সংসদ সভায় কী সিদ্ধান্ত হয়েছিল, পরবর্তীকালে কী কী কাজ হয়েছে, তারও পর্যালোচনা হয়। মঞ্চের পক্ষে ঝর্ণাদেবী বলেন, “আমরা সময় মতো গ্রাম সংসদের বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছি। কারণ, বিগত দিনের অভিজ্ঞতা ভাল নয়। কখনও বৈঠক ডাকা হত, কখনও হত না। অনেক ক্ষেত্রে খাতায়কমলেও বৈঠক হয়ে যেত। ফলে, গ্রামবাসীদের মতামত গুরুত্ব পেত না।”
সাধারণ গ্রাম সংসদ সভার আগে মহিলা সংসদ সভা ডাকারও দাবি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ জীবন জীবিকা সুরক্ষা মঞ্চ। অন্যদিকে, জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, আগের আমলের সঙ্গে এই আমলের তুলনা চলে না। এখন সময় মতোই গ্রাম সংসদের সভা হচ্ছে। সভা থেকে আগামী দিনের কাজের পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের তৃণমূল পরিষদীয় নেতা অজিত মাইতি বলেন, “বিভিন্ন পঞ্চায়েতে সংসদ বৈঠক হচ্ছে। সেখানে গ্রামবাসীদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। এলাকার মানুষ বৈঠকে আসছেন। নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন। এটা ঠিক, বাম-আমলে সময় মতো গ্রাম সংসদের বৈঠক ডাকা হত না। অনেক ক্ষেত্রে খাতায়কলমে বৈঠক হত। তবে, এখন সেই পরিস্থিতি নেই।” |
|
|
|
|
|