প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে র্যাগিংয়ের জন্য আরামবাগ নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের চার ছাত্রকে মঙ্গলবার হস্টেল থেকে বরাবরের জন্য বহিষ্কার করলেন কর্তৃপক্ষ। তবে, তাঁরা পঠনপাঠন চালাতে পারবেন।
কলেজের অধ্যক্ষ অসীম দে বলেন, “তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী মোট আট জন ছাত্রকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চার জন মূল অভিযুক্ত। বাকিরা তাদের সহায়তা করেছে। মুল অভিযুক্তদের ছাত্রাবাস থেকে বরাবরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকিরা আপাতত ছাত্রবাসে থাকতে পারবেন না। পরবর্তী কালে তাঁদের আচরণ দেখে কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন। সকলেই পঠনপাঠন চালাতে পারবেন।” অভিযুক্তেরা শাস্তি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ার মদনমোহনপুরের বাসিন্দা, ভূগোল অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র সঞ্জীব অধিকারীর উপরে ছাত্রাবাসে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ২৫ জন ছাত্র পীড়ন চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। সঞ্জীব পরের দিন সকালেই বাড়ি চলে যান। পরে তাঁর বাবা ক্ষীরোদ অধিকারী ছেলেকে সঙ্গে এনে লিখিত অভিযোগ করেন অধ্যক্ষের কাছে। অধ্যক্ষ প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পান। সঞ্জীব তাঁর মোবাইলের ভয়েস-রেকর্ডার খোলা রাখায়, পীড়নের সময়ে অভিযুক্তদের কথাবার্তা ধরা পড়ে। ১৪ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তদের তখনকার মতো ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়। সে সময় অধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আট জনের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের মধ্যে দেষীদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিচালন সমিতির অনেকে অনুপস্থিত থাকায় সে সংক্রান্ত বৈঠকটি হল মঙ্গলবার। এ দিন বৈঠক শেষে অধ্যক্ষ বলেন, “অভিযুক্তদের মধ্যে ১৭ জনের কোনও দোষ মেলেনি। নিগৃহীত ছাত্র এবং তাঁর অভিভাবক লিখিত ভাবে অনুরোধ করেছিলেন, দোষীরা যেন কলেজে পঠনপাঠন চালাতে পারেন। দোষীদের অভিভাবকরাও বৈঠকে উপস্থিত থেকে ছেলেদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।” |