ফের আইনি জটে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের শেয়ার বিক্রি। প্রস্তাবিত এই শেয়ার বিক্রি বন্ধ করতে কলকাতা হাইকোর্ট যে-অন্তর্বর্তী রায় দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের আর্জি মঙ্গলবার খারিজ করল আদালত। এর ফলে শেয়ার বেচে আর্থিক সঙ্কটে পড়া পেট্রোকেমের হাল ফেরানো নিয়ে নতুন করে অসুবিধায় পড়ল রাজ্য।
রাজ্য যাতে পেট্রোকেমের শেয়ার বিক্রি করতে না-পারে, সেই আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে মমলাটির শুনানি চলছে। ইন্দ্রপ্রসন্নবাবু শেয়ার বিক্রির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। আর এই স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করেই রাজ্য আপিল মামলা করে ডিভিশন বেঞ্চে। মঙ্গলবার বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অমল মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ ওই মামলা খারিজ করে জানিয়ে দেয় এই মামলা শোনার এক্তিয়ার ডিভিশন বেঞ্চের নেই। বেঞ্চ জানায় মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চ এখন এই মামলা শুনতে পারে না। আপিল মামলা তাই মূল্যহীন।
রাজ্য সরকারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায় বলেন, হলদিয়ার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। বিআইএফআরে চলে যেতে পারে। এই অবস্থায় শেষার বিক্রি করতে পারলে তবেই হলদিয়াকে বাঁচানো যাবে।
পাশাপাশি, পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, শেয়ার বিক্রি বন্ধের আর্জি জানিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। সেই মামলায় ১ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কলকাতা হাইকোর্টের যে-সিঙ্গল বেঞ্চে এই বিষয়ে মামলা চলছিল সেই বেঞ্চেই মামলাটি শেষ করতে
হবে। শীর্ষ আদালত ২২ নভেম্বর পর্যন্ত শেয়ার বিক্রি
বন্ধে স্থগিতাদেশ দেয়।
এ দিন ডিভিশন বেঞ্চ এই কারণেই জানিয়ে দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরে তারা রাজ্য সরকারের আপিল মামলা শুনতে পারে না। অর্থাত্ রাজ্য সরকারকে এখন যে-কোনও আর্জি জানাতে হলে তা ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চেই জানাতে হবে। সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা শেষ হয়ে
রায় প্রকাশের পর রাজ্য সরকার মনে করলে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারবে।
রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের তরফ থেকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে। কারণ শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে সংস্থাকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। আইনি জটের জাল থেকে শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়াকে বার করে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে নিগম। |