|
|
|
|
নয়া আইনের ভাবনা |
জুনিয়র ক্রিকেটেও ভিন রাজ্যের ‘অনুপ্রবেশ’ রোখার দিকে সিএবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সব কিছু ঠিকঠাক চললে, দ্বিতীয় ডিভিশনের ‘ওষুধ’ জুনিয়র ক্রিকেটেও আমদানি করতে চলেছে সিএবি। রীতিমতো আইন করে জুনিয়র ক্রিকেটে (অনূর্ধ্ব-১৭) ভিন রাজ্যের ক্রিকেটারদের খেলা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে!
চলতি ক্রিকেট মরসুমের মাঝামাঝি সিএবি-র অম্বর রায় সাব জুনিয়র টুর্নামেন্টে (অনূর্ধ্ব-১৪) প্রায় পঞ্চাশ জন খুদে ক্রিকেটারের বয়স ভাঁড়ানোর কলঙ্ক এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছিল রাজ্যের ক্রিকেট প্রশাসনকে। অভিযুক্ত ক্রিকেটার ও কোচিং সেন্টারদের কী শাস্তি দেওয়া হবে, সেটা সোমবার ক্রিকেট কমিটির বৈঠকে ঠিক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিটির কোনও কোনও সদস্য এবং সিএবি-র কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে এ দিন উপস্থিত না থাকায় বয়স ভাঁড়ানোর কঠোর শাস্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেওয়া হল আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ওই দিন আবার বৈঠক হবে। কিন্তু এ দিন সিএবি-র আইনজীবী উষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একপ্রস্ত কথাবার্তা বলে জুনিয়র ক্রিকেটে ভিনরাজ্যের ক্রিকেটারদের খেলা বন্ধ করার ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে গেল সিএবি।
সিএবি-র উচ্চপদস্থ কর্তাদের মনে হচ্ছে, মূলত দেহরাদুন, ঝাড়খণ্ডের মতো দু’তিনটে জায়গা থেকে নিয়মিত ভিনরাজ্যের ক্রিকেটারদের বাংলা ক্রিকেটে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা বয়সের কোনও বৈধ নথিপত্র ছাড়াই দিব্যি দিনের পর দিন বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের হয়ে সিএবি-র জুনিয়র টুর্নামেন্ট খেলে চলেছেন। এবং তাঁদের ধরেও লাভ হচ্ছে না যেহেতু কারওরই বাংলার হয়ে খেলার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কর্তাদের মতে, এতে বাংলা ক্রিকেটের লাভ নয়, ক্ষতিই হচ্ছে। “এরা দালাল ধরে বার্থ সার্টিফিকেট বানাচ্ছে। ধরলেও লাভ হচ্ছে না। চলে যাচ্ছে। তাই দ্বিতীয় ডিভিশনে যে ভাবে আমরা ভিনরাজ্যের ক্রিকেটারদের খেলা বন্ধ করেছি, জুনিয়র টুর্নামেন্টেও সেটা করে দিতে পারি,” বলে দিচ্ছেন সিএবি-র যুগ্ম সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি এ বার থেকে জুনিয়র ক্রিকেটের প্রত্যেকটা ম্যাচে স্পটার রাখার বন্দোবস্তও করা হচ্ছে। শোনা গেল, সিএবি-র জুনিয়র ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের আবাসন ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বৈঠকে সিএবি কর্তাদের প্রস্তাব দিয়েছেন, জুনিয়রদের ম্যাচের সময় সম্ভব হলে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের উপস্থিত করতে। যাতে মোটিভেশন আরও বাড়ে।
এ দিকে, অম্বর রায় টুর্নামেন্টে বয়স ভাঁড়িয়ে ধরা পড়া ক্রিকেটারদের শাস্তির ব্যাপারেও আইনি সাহায্য নিচ্ছে সিএবি। অভিযুক্ত ক্রিকেটার ও তাদের অভিভাবকরা যে লিখিত সাফাই দিয়েছেন, তাতে কোথাওই সরাসরি ভাবে কোচিং সেন্টারের প্রভাবে জন্মনথি জাল করা হয়েছে এমন বলা নেই। আইনের দিকটা তাই দেখে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী বছর থেকে কী কী বিধিনিষেধ থাকবে, সেটাও মোটামুটি ঠিক।
পরের বার কেউ বয়স ভাঁড়িয়ে ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে দশ বছর এবং কোচিং সেন্টারকে পাঁচ বছরের নির্বাসনে পাঠানো হবে। সতর্কবার্তা সমেত পুরো নিয়মাবলীই টুর্নামেন্টের ফর্মের সঙ্গে আগাম পাঠিয়ে দেওয়া হবে কোচিং সেন্টারদের। |
|
|
|
|
|