টুকরো খবর |
ওড়িশার ধান ব্যবসায়ী খুনের কিনারা, ধৃত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ওড়িশার এক ধান ব্যবসায়ীর রহস্য- মৃত্যুর কিনারা করল রেল পুলিশ। তদন্তে রেল পুলিশ নিশ্চিত, ওই ব্যবসায়ীকে খুনই করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। ওই ব্যবসায়ীর কাছে সব মিলিয়ে ৫ লক্ষ টাকা ছিল। তদন্তে নেমে রেল পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই টাকা লুঠ করার জন্যই এই খুন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ১৯ নভেম্বরের। ওই দিন সকালে শালবনির ভাদুতলার কাছে রেল লাইনের পাশ থেকে এক ধান ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করে রেল পুলিশ। মৃতের নাম রাখালচন্দ্র শ্যামল (৩৮)। বাড়ি ওড়িশার জাজপুর জেলার রাহাল গ্রামে। দেহ উদ্ধারের সময়ই রেল পুলিশ কর্মীদের সন্দেহ হয়। তদন্তে নামে রেল পুলিশ। এরপরই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসে। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, রাখালচন্দ্রবাবু ১৭ নভেম্বর দুপুরে লরিতে ধান নিয়ে ওড়িশা থেকে রওনা হন আরামবাগের উদ্দেশে। কমবেশি ২০ টন ধান ছিল লরিতে। লরিতে তাঁর সঙ্গী ছিলেন চালক অচিন্ত্য ঘোষ, বাড়ি শালবনির ছাতনি গ্রামে। অন্য জন খালাসি, নাম শম্ভু ঘোষ। বাড়ি শালবনিরই শালছেত্রী গ্রামে। ধান বোঝাই লরি আরামবাগের এক মিলে পৌঁছয় ১৮ নভেম্বর সকালে। ওই দিন দুপুরে আরামবাগ থেকে খালি লরিতে তিনজনে ফেরেন চন্দ্রকোনা রোডে। পরে একটি মোটর বাইকে করে রাখালচন্দ্রবাবুকে নিয়ে মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা হন চালক-খালাসি। এই দু’জনকেই গ্রফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করার পর পুলিশের দাবি, মেদিনীপুর আসার পথে ভাদুতলায় ওই ধান ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়। গলায় মাফলার জড়িয়েই খুন করা হয়েছে। পরে দেহ রেল লাইনের পাশে ফেলা হয়।
|
কংগ্রেসের ‘মুক্তি পদযাত্রা’
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সন্ত্রাস, অপশাসন, ক্ষুধা থেকে মুক্তির দাবিতে পদযাত্রা করবে কংগ্রেস। পদযাত্রা শুরু হবে মেদিনীপুর থেকেই। শেষ হবে কলকাতায়। আগামী ১ ডিসেম্বর মেদিনীপুর শহরের গাঁধী মূর্তির পাদদেশ থেকে এই কর্মসূচির সূচনা হবে। উপস্থিত থাকবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিধায়ক মানস ভুঁইয়া প্রমুখ। কর্মসূচি সফল করতে রবিবার জেলা কংগ্রেস অফিসে এক বৈঠক হয়। জানা গিয়েছে, ১ ডিসেম্বর মেদিনীপুর থেকে যে পদযাত্রা শুরু হবে, পরে তা পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ১৩ ডিসেম্বর কলকাতায় গিয়ে পৌঁছবে। ওই দিন শহিদ মিনার ময়দানে এক সভা হতে পারে। |
|
পদযাত্রা নিয়ে কংগ্রেসের বৈঠক।—নিজস্ব চিত্র। |
বিভিন্ন জেলার কংগ্রেস কর্মীরা পদযাত্রায় যোগ দেবেন। ২২৫ কিলোমিটার যাত্রাপথের সবটাতেই থাকবেন ১০১ জন কর্মী। সঙ্গে যে এলাকার উপর দিয়ে পদযাত্রা যাবে, সেই এলাকার কর্মীরা সামিল হবেন। মানসবাবুর কথায়, “আগামী দিনে সারা বাংলাতেই পদযাত্রা হবে। প্রথম পর্যায়ে পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতাতে হচ্ছে। আমরা খুশি। কারণ, এই কর্মসূচির সূচনা মেদিনীপুর থেকেই শুরু হচ্ছে।” কর্মসূচির নামকরণ করা হয়েছে, ‘মুক্তির পদযাত্রা’।
|
কংগ্রেসের পথসভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা তৃণমূলের অভিযোগের প্রতিবাদে পথসভা করল কংগ্রেস। শনিবার সন্ধ্যায় খড়্গপুরের প্রেমবাজারে পথসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, কংগ্রেসের পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অসুস্থ। ফলে মানুষ পুর-পরিষেবা পাচ্ছেন না। এমনকী পুরসভার ৮৬ কোটির জল প্রকল্পের কাজও থমকে। তাই পুরপ্রধান অন্য কাউকে তাঁর পদের দায়িত্বভার দিন। এর পাল্টা হিসেবে গত ১৩ নভেম্বর সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নিজেকে সুস্থ বলে দাবি করে পুরসভার কাজ যথাযথ হচ্ছে বলে জানান পুরপ্রধান রবিশঙ্করবাবু। এ দিনও একই দাবিতে কংগ্রেসের তরফে পথসভাটি হয়। পথসভায় ছিলেন শহর কংগ্রেস সভাপতি অমল দাস, পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে, শহর যুব কংগ্রেস সভাপতি ধীরাজ যাদব, মেদিনীপুর লোকসভা যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অমিত পাণ্ডে প্রমুখ। শহর সভাপতি অমল দাস বলেন, “তৃণমূলের দাবি মিথ্যে। পুরপ্রধান নিয়মিত যাচ্ছেন। কাজও এগোচ্ছে।”
|
খড়্গপুরে আটক সাতটি গাড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
ঝাড়খণ্ডে ‘হাইজ্যাক’ হওয়া সাতটি গাড়ির মধ্যে ছ’টিকে আটক করল খড়্গপুর থানার পুলিশ। রবিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “রবিবার সকালে পুনে থেকে আসা সাতটি গাড়ি বোঝাই এক কন্টেনারকে আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতীদের এক চক্র ঝাড়খণ্ডে ‘হাইজ্যাক’ করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ খড়্গপুরের নিমপুরার কাছে ছ’টি গাড়ি আটক করেছে। ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি পলাতক দু’জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তাদেরও দ্রুত ধরা হবে।” পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম অমিত অগ্রবাল। অমিত ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। আটক করা হয়েছে কন্টেনারের চালক সুধীর প্রসাদ। তার বাড়ি বিহারের নওদায়।
|
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
বাসের সঙ্গে মোটর বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। জখম হন আরও এক। রবিবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সবংয়ের চাঁদকুড়ির দাঁতরদা এলাকায়। মৃত গৌতম মান্নার (৩৭) বাড়ি এগরায়। গুরুতর জখম বলরাম মণ্ডলকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ দিন মোটর বাইকে এগরায় ফিরছিলেন গৌতমবাবু। সঙ্গে ছিলেন বন্ধু বলরাম। সেই সময় উল্টোদিক থেকে আসা মেদিনীপুরগামী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ছিটকে যায় তাঁদের মোটর বাইক। গুরুতর জখম দু’জনকে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পথে মৃত্যু হয় গৌতমবাবুর।
|
আলোচনা সভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
শরীরচর্চা ও সুস্থ থাকার কৌশল নিয়ে এক আলোচনা সভা হল খড়্গপুরে। রবিবার শহরের চৌরঙ্গীতে ওই অনুষ্ঠান হয়। সেখানে খেলাধূলা, জিমের মাধ্যমে কী ভাবে শরীরের সৌন্দর্য বজায় রাখা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে জেলার ১০ ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিচারক রমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, জেলা ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ শ্যামাপদ পাত্র প্রমুখ।
|
মোগলমারিতে শুরু খননকাজ
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
বৌদ্ধবিহার সংরক্ষণের লক্ষ্যে দাঁতনের মোগলমারিতে খনন শুরু করল রাজ্য পুরাতত্ত্ব বিভাগ। রবিবার সকাল থেকে দাঁতনের মোগলমারিতে ওই উৎখনন শুরু হয়। নেতৃত্ব দেন রাজ্য পুরাতত্ত্বের উপ-অধিকর্তা অমল রায়। ২০০৩ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ওই এলাকায় ছ’দফায় খনন চালিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক প্রয়াত অশোক দত্ত পুরতত্ত্বটিকে বৌদ্ধবিহার বলে দাবি করেছিলেন। |
শুরু উত্খনন
|
রবিবার মোগলমারিতে খনন শুরু করল রাজ্য পুরাতত্ত্ব বিভাগ। নেতৃত্ব দেন
রাজ্য পুরাতত্ত্বের
উপ-অধিকর্তা অমল রায়। তিনি জানান, “প্রথম দিনে
পাঁচটি
ট্রেঞ্চে ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত খনন সম্ভব হয়।” নিজস্ব চিত্র। |
তবে দেড় বছর খনন বন্ধ থাকার পর রবিবার ফের খনন ও সংরক্ষণের কাজে হাত পড়ল। রাজ্য পুরাতত্ত্বের উপ-অধিকর্তা অমল রায় জানান, “রবিবার, প্রথম দিনে পাঁচটি ট্রেঞ্চে ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত খনন সম্ভব হয়েছে। আশা করছি দ্রুত কাজ এগোবে। তবে পনেরো দিন না গেলে বলা যাবে না এটি আদতে বৌদ্ধবিহার কি না।”
পুরনো খবর: বৌদ্ধ উৎসর্গ ফলকের সন্ধান পাওয়া গেল মোগলমারি থেকে
|
ছাত্রীদের ফের সাইকেল বিলি |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
ছাত্রীদের ফের সাইকেল বিলি শুরু হল শালবনিতে। এ বার ২ হাজার ৯৫৪ জনকে সাইকেল দেওয়া হবে। রবিবার এই কর্মসূচির সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিডিও জয়ন্ত বিশ্বাস, বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ প্রমুখ। জঙ্গলমহলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেই মতোই অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে এই কর্মসূচি। |
|