টুকরো খবর
কংগ্রেস নেতাদের কাছে সোমেন মিত্র, জল্পনা
ব্যক্তিগত সফরে এসে রবিবার কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ সেরে নিলেন তৃণমূল সাংসদ সোমেন মিত্র। বোলপুর স্টেশন রোড়ের একটি বেসরকারি লজে কংগ্রেসের ওই সভায় সোমেনবাবু বলেন, “যতদিন না পদত্যাগ করছি, ততদিন আমি তৃণমূলের সাংসদ। যদিও আমি ঘোষণা করেছি, আমি তৃণমূল ছাড়ছি। তাই জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আমি পদত্যাগ করব। তার পর কোন দলে যাব, কী যাব না ঠিক করব।” সোমেনবাবু দাবি করেছেন, তাঁর প্রতিবেশী তথা ছোট ভাই বাদল দত্ত বহু দিন ধরে বোলপুরের বাড়িতে আসার কথা জানিয়েছিলেন। সেই সময় হয়ে ওঠেনি। তাই এ দিন বাদল দত্তের বাড়িতে যাওয়ার কর্মসূচি নিয়ে তিনি বীরভূমে এসেছেন। যদিও তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, সোমেনবাবু কংগ্রেসে যোগ দেবেন। কারণ, বোলপুরের জামবুনি বাসস্ট্যান্ডে লাগোয়া তৃণমূলের আইএনটিটিইউসি দফতরে না গিয়ে আইএনটিইউসি দফতরে বসে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বসে কুশল বিনিময় করার ফাঁকে, জেলা সম্পর্কে নানা বিষয় জেনে নেন। চা পান করে সকলকে ভাল থাকার পরামর্শ দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা আমার ব্যক্তিগত সফর। অন্য কোনও রকম কথা হবে না।” এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল মাড়গ্রামের তপন গ্রামে এক জনসভায় বলেন, “দল ছাড়ার কথা উনি ভাবছেন। জিততে পারবেন তো? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় উনি জিতে ছিলেন।”

গ্রামোন্নয়ন নিয়ে আলোচনা
গ্রাম উন্নয়নে পঞ্চায়েত ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমন্বয় নিয়ে রবিবার সারাদিন ধরে ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের মল্লারপুরে আলোচনাসভা হয়। সেখানে জেলা প্রশাসনের তরফে কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক বিধান রায়, ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী এবং জেলার ১৭টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ধীরেন্দ্রনাথবাবু জানান, জেলার সর্বত্র গ্রামীণ শৌচাগার নির্মাণ ও সৌরশক্তি ব্যবহার, বিকল্প চাষের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে দুর্গাদাস ভট্টাচার্য, সাধন সিংহের দাবি, “গ্রামোন্নয়নে আমরা দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে নানা উন্নয়নের কাজ করেছি। আগামীদিনেও করব।” জেলার সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি গ্রামের উন্নয়নে সদর্থক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক বিধানবাবু।

হাঁসন ও মল্লারপুরে দলবদল
মুরারইয়ের পরে এ বার হাঁসন বিধানসভা এলাকার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের নিজেদের দলে টানতে সক্ষম হল তৃণমূল। রবিবার তপন গ্রামে এক সভায় কালুহা, হাঁসন-১, হাঁসন-২, দুনিগ্রাম, বিষ্ণুপুর অঞ্চলের বেশ কিছু কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী ও জেলাস্তরের নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কালুহা পঞ্চায়েতের ৩ নির্দল সদস্য-সহ এলাকার প্রাক্তন সিপিএম নেতা হাফিজ খানের বেশ কিছু বামপন্থী কর্মীরাও এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন। অন্য দিকে, এ দিন মল্লারপুর ১ পঞ্চায়েতের দুই সিপিএম সদস্য আনন্দ কোনাই ও উদ্ধারণ মণ্ডল রবিবার তাঁদের সমর্থকদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাঁরা দল বদল করার আগে এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ছিল ৮ ও সিপিএমের ছিল ৫। এখন তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ১০ এবং সিপিএমের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ালো ৩-এ।


মহম্মদবাজারের ভেজেনা গ্রামে চাষি দম্পতি রবিবার সন্ধ্যায় জমি থেকে
মুলো তুলে এনে কানা নদীতে পরিষ্কার করছেন। আজ, সোমবার সকালে
সিউড়ি বাজারে বিক্রি করবেন। এ বছর তাঁরা ৫ কাঠা জমিতে মুলো
চাষ করেছেন। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।


সিউড়ি পুলিশ লাইনের কাছে আগুনে পুড়ে যায় কয়েকটি অস্থায়ী
গ্যারাজ-সহ দু’টি খাবারের দোকান। রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.