ছবির পিছনের ‘স্টোরি’ |
ট্যাক্সিতে ইন্সপেক্টর খান
সুব্রত কুমার মণ্ডল |
|
কলকাতায় নওয়াজ। ধুম জ্বর হওয়ায় সেদিনের শু্যটিং বাতিল। ‘কহানি’র সময় ওঁর প্রথম ছবিগুলো আমিই তুলেছিলাম। পরিচয় সেই থেকেই। ফোটোশু্যটের কথা শুনে আমাকে বললেন অপেক্ষা করতে। ওষুধ খেয়ে, জলপট্টি নিয়ে, রেস্ট করে নওয়াজ হাজির ছবি তুলতে। বললেন, “আপকে লিয়ে হম আয়ে।” আমি তো হতবাক! তার পর যা যা হল, তাকে নওয়াজ কহানি বললেও কম বলা হবে। ট্যাক্সি করে যেখানে যেখানে যেতে বললাম, গেলেন। এর পর যাবেন দমদম বিমানবন্দর। এ দিকে প্রোডাকশনের গাড়িও আসেনি। অনুরোধ করি আমার অফিসের গাড়িতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু না। দিব্যি ট্যাক্সিতে উঠে নওয়াজ টা টা।
|
আমার জীবনের সেরা সম্পদ
উৎপল সরকার |
|
মান্না দে বেশ পরিপাটি করে থাকা লোক। যেমন তেমন করে ছবি তুললে হবে না। কিন্তু এ বারটা অন্যরকম। টেস্টের মাঝে গৌতম ভট্টাচার্য গিয়েছিল মান্না দে-র ইন্টারভিউ করতে। মান্নাদা-র ওই অবস্থার ছবি তুলব কি না, বেজায় ফাঁপরে পড়লাম। গৌতমদাও কোনও সম্মতিসূচক ইঙ্গিত দিচ্ছে না। কিন্তু ফোটোগ্রাফারের মন! ক্যামেরা বের করলাম। পাশের ঘর থেকে রে রে করে ছুটে এল ওঁর মেয়ে। ক্যামেরা বন্ধের শাসানি দিয়ে। অগত্যা ক্যামেরা বন্ধ করে ফোনেই কিছু ছবি তুলে নিলাম। না জানিয়ে ফোটো তুলে তখন অপরাধ বোধ করলেও, এখন মনে হয় ওই ছবিটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সম্পদ।
|
অক্ষয়ের পুরনো আস্তানা
অরিজিৎ চক্রবর্তী |
|
রাত দশটা। বস (গৌতম ভট্টাচার্য) ডেকে পাঠালেন। অফিস শেষের মুখে ডাক মানে, প্রাণটা হাতে নিয়ে যাওয়া, তুমুল ঝাড় অপেক্ষা করছে। না, ঝাড় নয়। অ্যাসাইনমেন্ট। দিল্লি থেকে সবে অক্ষয় কুমারের ইন্টারভিউ নিয়ে ফিরেছেন। সেখানে অক্ষয় জানিয়েছেন ছোটবেলার বেশ কয়েকবছর কলকাতায় কাটিয়েছেন। বস বললেন, “দেখে এসো, কপি হয় কি না?” পরের দিন সকাল ন’টায় চৌরঙ্গি লেন। কিন্তু কোথায় কী? এখন তো সেখানে বিউটি পার্লার। এর পরের চার ঘণ্টা অক্ষয়ের বন্ধুদের কারওকে ঘুম থেকে তুলে, কারও অফিসে হানা দিয়ে খুঁজে পেলাম রাজীব ভাটিয়া-র ছেলেবেলা। |
ক্যামেরা নিয়ে জলে
কৌশিক সরকার |
|
‘লুটেরা’র প্রেস কনফারেন্স চলছে পার্ক হোটেলে। কনফারেন্স শেষে রণবীর সিংহ আর সোনাক্ষী সিংহের ইন্টারভিউ নিচ্ছে প্রিয়াঙ্কাদি (প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত)। অ্যাকোয়া-র পুলসাইডে। ইন্টারভিউ চলাকালীন কয়েকটা ছবি নেব বলে তাড়াহুড়ো করে আসছি। হঠাৎ টের পেলাম ধীরে ধীরে নীচে নেমে যাচ্ছি। এক হাতে ক্যামেরা, অন্য হাতে ফোন। আমি সটান পুলে। রিপোর্টার, ফোটোগ্রাফার বন্ধুরা ছুটে এসেছে। রণবীরও, “আর ইউ ওকে? আর ইউ ওকে?” বলে এগিয়ে এসেছে। আর ওকে! এক কোমর জলে দাঁড়িয়ে কোনও মতে ঘাড় নাড়লাম। সে দিনের ছবিগুলো কিন্তু পাতা জুড়েই বেরিয়েছিল। |
|