একটি শিশুমৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে শুক্রবার রাতে উলুবেড়িয়ার একটি নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালাচ্ছিল জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে প্রহৃত হলেন পুলিশকর্মীরা। র্যাফ নামে। পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগে ওই রাতেই সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত উলুবেড়িয়ার কাশমূল গ্রামের বাসিন্দা মেহেরুন্নিসা নামে ১৪ মাসের ওই শিশুটিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসক ইঞ্জেকশন দেন। তার কিছু ক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় শিশুটির। এর পরেই পরিবারের লোকজন চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। তবে, এ বারে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে তাঁরা লিখিত ভাবে কোনও অভিযোগ জানাননি। কিন্তু নার্সিংহোমে হাজির ওই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। ভাঙচুর চালানো হয় নার্সিংহোমে। পুলিশ গেলে তাদের উপরেও চড়াও হয় জনতা। দেবাশিস মিশ্র নামে উলুবেড়িয়া থানার এক সাব-ইন্সপেক্টরের নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
মেহেরুন্নিসার পরিবারের দাবি, ইঞ্জেকশন দেওয়ার আগে পর্যন্ত শিশুটি সুস্থ ছিল। ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই মারা যায়। কিন্তু সেই সময়ে নার্সিংহোমের কোনও কর্তার দেখা মেলেনি। কী কারণে মেহেরুন্নিসার মৃত্যু হয়েছে সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গেই কথা বলতে পারেননি তাঁরা। এমনকী, চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চাওয়ার জন্যও কাউকে পাওয়া যায়নি। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। আগে থেকেই শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় আনা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা যথাসম্ভব বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন।” |