|
|
|
|
|
আজ ফের ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
শামিই ভারতীয় বোলিংয়ের টনিক
রবি শাস্ত্রী |
|
বৃষ্টি বাদ না সাধলে বিশাখাপত্তনমে আজ ধোনিদের আরও একটা জয় দেখব বলেই মনে হচ্ছে! এমন মনে হওয়ার আসল কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটা। ওদের মানসিকতায় তেড়েফুঁড়ে পাল্টা দেওয়ার কোনও লক্ষণ দেখছি না। দলটাকে এতটাই বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে যে, ওদের জন্য ভারতকে হারানো এখন দুর্গম পাহাড়ে চড়ার মতোই কঠিন চ্যালেঞ্জ। অথচ প্রতিভা বা দক্ষতার অভাব নেই ওদের। ওদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মাঠে নেমে নিজেদের প্রয়োগ করায়।
অন্য দিকে, ভারতের টপ অর্ডার এই মুহূর্তে এমন অবিশ্বাস্য ফর্মে যে অবস্থাটা এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায় দেখ! কে আগে খেলাটা শেষ করবে তাই নিয়েই যেন রেষারেষি লেগে যাচ্ছে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে। কোনও অধিনায়কের জন্য এর চেয়ে বেশি আরামের পরিস্থিতি হতে পারে না। কোচির ম্যাচে যেটা সবচেয়ে ভাল লাগল, সেটা হচ্ছে ম্যাচের পরিস্থিতি খুব দ্রুত বিশ্লেষণ করে ভারতের টপ অর্ডার যে ভাবে শুরুতে সময় নিয়ে নিজেদের গুছিয়ে রান তাড়া করল। এটাই বলে দেয় সব কন্ডিশনে সফল হওয়ার খিদেটা এই দলে কতটা তীব্র। |
|
এর পাশে মহম্মদ শামির উত্থান হচ্ছে একদম সেই আদর্শ টনিক যেটা এই দলে বোলিং বিভাগের খুব দরকার ছিল। গতির সঙ্গে রিভার্স সুইং করানোর দারুণ ক্ষমতা আছে ওর। তাতেই নিয়মিত উইকেট নিচ্ছে এবং প্রতিপক্ষের পার্টনারশিপ গড়া রুখে ম্যাচ হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে দিচ্ছে না। ইদানীং এই জায়গাটাতেই খানিকটা পিছিয়ে ছিল ভারত। কিন্তু শামিকে পাওয়ায় ধোনির হাতে দারুণ একটা উইকেট টেকিং বিকল্প এসেছে।
কোচি ম্যাচে ধোনি যে ভাবে ওর বোলারদের ব্যবহার করল, দেখে আমি মুগ্ধ! ভারতীয় কন্ডিশনে এ ভাবে চমক তৈরি করে প্রতিপক্ষকে ধাঁধায় ফেলতে পারাটা কাজে দেয়। রায়না আর রোহিত পার্ট টাইম বোলার হিসাবে দারুণ কার্যকর। দু’জনেই খুব বুদ্ধির সঙ্গে বলটা করে আর বল করার সময় ব্যাটসম্যানের মতো করে ভাবে।
মাঝের ওভারগুলোয় যখন দু’দিক থেকে স্পিনার এনে আক্রমণে যাচ্ছে ভারত, সেই সময় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের একজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের এক দিকে হাল ধরা উচিত। তার বদলে ওরা শুরুতে এত তাড়াতাড়ি উইকেট হারাচ্ছে যে ভারতীয় স্পিনারদের মোকাবিলার দায়িত্ব বারবার এসে পড়ছে এমন দুই ব্যাটসম্যানের উপর যারা সদ্য ক্রিজে নেমেছে। |
|
|
|
|
|