দক্ষিণ দিনাজপুরে বিএসএনএল-এর লাগাতার টেলি বিভ্রাটের জেরে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত বালুরঘাটে মোবাইল, এসটিডি, ব্রডব্যান্ড এবং ইমেল পরিষেবা বন্ধ ছিল। অভিযোগ, এরজেরে ব্যাঙ্ক, ডাকঘর থেকে রেলের টিকিট বুকিং-সহ সমস্ত প্রশাসনিক পরিষেবা ও কাজকর্ম বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দিনের পর দিন পরিষেবা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। অথচ অন্য বেসরকারি সংস্থার পরিষেবা ঠিকঠাক চলছে। ওই সমস্ত সংস্থার সঙ্গে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের একাংশের অশুভ আঁতাত রয়েছে রয়েছে বলে বাসিন্দাদের সন্দেহ।
বিএসএনএলের রায়গঞ্জের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার সোমনাথ ঘোষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “বালুরঘাট-মালদহের মধ্যে ফাইবার অপটিক কেবল কেটে যাওয়ায় সমস্যা হয়। বৃহস্পতিবার কাটা এলাকা চিহ্নিত করতে রাত হয়ে যায়। এদিন সকাল থেকে কাজ শুরু হয়েছিল।” তবে কোথায় কেবল কেটেছিল, তা নির্দিষ্ট করে বলতে অবশ্য পারেননি সোমনাথবাবু।
গ্রাহকদের অভিযোগ, বেশকিছু দিন ধরেই জেলায় বিএসএনএলের পরিষেবা খারাপ হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দিনভর মোবাইল-সহ বিএসএনএলের যাবতীয় পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে দুর্ভোগর চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। বালুরঘাটে মোবাইল, ইন্টারনেট ও এসটিডি ব্যবহারের সুবিধা ঠিকমত না মেলায় দুর্ভোগ বাড়ছে। টাওয়ারের সমস্যা ছাড়াও এক প্রান্তের কথা অন্য প্রান্তের গ্রাহক শুনতে পাচ্ছেন না। অথচ টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে বিষয়টি বারবার জানিয়েও সুরাহা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। জেলাশাসক তাপস চৌধুরী বলেন, “জেলার টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল অবস্থার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তাদের জানানো হয়েছে। চিঠি দিয়েও কাজ হচ্ছে না।”
বিএসএনএল সূত্রের খবর, রায়গঞ্জে বিএসএনএলের প্রধান অফিস। এতে বালুরঘাটের সমস্যা নিয়ে কর্তৃপক্ষের তেমন হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। ১৯৯২ সালে সাবেক পশ্চিম দিনাজপুর জেলা ভাগ হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা গঠন হলেও টেলিফোনের ডিভিশন অফিস আজও ভাগ হয়নি। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকেই যাবতীয় বিএসএনএলের কাজকর্ম পরিচালিত হয়। টেলিফোনের ডিভিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যনেজারের অফিস বালুরঘাটে স্থানান্তরের দাবি জানানো হলেও কাজ হয়নি। |