চা গাছের চারা তৈরি থেকে দু’টি পাতা ও একটি কুঁড়ি ছিঁড়ে নেওয়া, তারপর সেখান থেকে পাতা বাছাই করে কারখানায় পাঠানো। পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ক্ষুদ্র চা চাষিদের ‘পদ্ধতিগত’ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে জলপাইগুড়িতে। শুক্রবার এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক পৃথা সরকার। আজ, শনিবার থেকে জেলার সন্ন্যাসীহাট, বেরুবাড়ি এবং ভোটপট্টিতে প্রশিক্ষণ চলবে। ছুটির দিন বাদে কৃষকদের টানা ২০ দিন ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে চা চাষিদের।
কেন্দ্রীয় সরকারের দি ন্যাশনাল স্কিল সার্টিফিকেট এণ্ড মনিটরি রিওয়ার্ড প্রকল্পের আওতাতেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। চা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, চা চাষের খুটিনাটি বিষয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার, পাতার গুণমান বাড়াতে কী ধরণের সার ব্যবহার করা উচিত, কীটনাশক প্রয়োগের মাত্রা সহ সব বিষয়েই হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কৃষকদের। এ দিন জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধনে জেলাশাসক বলেন, “এই প্রকল্প চা চাষিদের দক্ষতা বৃদ্ধির সহায়ক হবে। তাঁরা উন্নত মানের চা তৈরি করতে পারবেন।”
ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠন ‘সিস্টা’-র সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “এই ধরনের সুসংহত অনুশীলনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র চা চাষিরা উন্নত মানের চা তৈরি করতে পারবেন।” বেরুবাড়ির ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠন নবজাগরণ চা চাষি সমিতির সম্পাদক দিলীপ দাস বলেন, “এই প্রশিক্ষণ প্রয়োজন ছিল।”
ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, ছোট বাগানের উৎপাদিত পাতার গুণগত মান ভাল নয় বলে অনেকসময়েই পাতার কম দাম পাওয়া যেত। সে কারণে অনেক ক্ষুদ্র চা চাষিরাই যথেষ্ট জমিতে চাষ করেও লাভের মুখ দেখতে পাননি। এই প্রশিক্ষণ পেলে সকলেই উপকৃত হবেন বলে সমিতির দাবি। একটি বেসরকারি সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ দেবে। |