প্রোমোটারির জন্য চাষিদের মারধর করে চাষজমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল ভাঙড়ের কয়েক জন তৃণমূল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে সাতবেড়িয়ার দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের হেদায়তুল্লাপুর গ্রামের ওই ঘটনায় আহত হন প্রায় ১৫ জন চাষি। তাঁদের নলমুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। অভিযুক্তেরা অবশ্য অভিযোগ মানেননি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকার গরানবোস মৌজায় প্রায় ৫০ বিঘা চাষজমি রয়েছে। সেখানে ৩০-৩৫টি চাষি পরিবার বহুদিন ধরেই চাষাবাদ করছে। চাষিদের দাবি, ওই জমির অনেকটাই তাঁরা বর্গা পেয়েছেন। কেউ কেউ ভাগ চাষও করেন। তাঁদের অভিযোগ, কিছু প্রোমোটারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভাঙড়-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তৃণমূলের জাহাঙ্গির খান চৌধুরী এবং তাঁর অনুগামী ওই দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য কর্ণ লস্কর ওই জমিতে চাষ করতে কিছু দিন ধরেই বাধা দিচ্ছিলেন। এ দিন কর্ণবাবুর নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা জোর করে ওই জমি বেড়া দিয়ে ঘিরতে যায়। চাষিরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করা হয় বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি লিখিত ভাবে তৃণমূলের বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান সওকৎ মোল্লাকেও জানান চাষিরা। |
আহত চাষিদের মধ্যে প্রবীর গায়েন এবং সুনীতা গায়েন বলেন, “বাপ-ঠাকুরদার আমল থেকে চাষ হচ্ছে ওই জমিতে। তৃণমূলের লোকজন জমি দখল করে প্রোমোটারির জন্য ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিতে চাইছে। বাধা দেওয়ায় ওরা আমাদের মারধর করেছে।”
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জাহাঙ্গির খান চৌধুরী। তাঁর দাবি, “আমি পাঁচ-ছ’দিন ধরে বাইরে আছি। এই ঘটনার সঙ্গে আমি যুক্ত নই। মিথ্যা অভিযোগ।” কর্ণবাবুও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না।”
তবে, তৃণমূল নেতা সওকৎ মোল্লা বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা চাষিদের পক্ষে। দলের যারা চাষিদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে দলগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। |